বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিবৃতি দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশিদের চিঠির প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, দেখুন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার হয়েছে এবং তিনি সাজা ভোগ করছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল লরিয়েটের বিচার হয়েছে, তারা জেলও খেটেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। সত্যটা হচ্ছে এই যে, শ্রমিকদের ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল যেটির মূল্য হচ্ছে ১২শ কোটি টাকা। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে এবং ঘুস প্রদান করে সেটিকে ৪শ কোটি টাকায় নামিয়েছিলেন। সেটিও তিনি প্রদান করেননি। সে জন্য বিচার হচ্ছে। আরও অনেক মামলা আছে। আমাদের দেশের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিবৃতি দেওয়া দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। সে জন্য বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক এবং সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন।’
সাংবাদিকরা বিএনপির দাবিকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেব দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তার প্রতি যথার্থ সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এ ক্ষেত্রে তার নামের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটাও দেখেছি যে, বিএনপি হিরো আলমকে পছন্দ করেছে। এসব প্রচার-অপপ্রচার যাই বলেন, এগুলো নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’
ঢাকায় নতুন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী যে উড়ালসড়ক উদ্বোধন করেছেন সেটি উন্নয়নের অভিযাত্রায় অবশ্যই আরেকটি মাইলফলক। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে ঢাকা শহরসহ সারা দেশ সত্যিকার অর্থেই বদলে গেছে। আপনারা মির্জা ফখরুল সাহেবকে,
বিএনপির নেতাদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তারা কী বলে একটু শোনার অপেক্ষায় আছি। কারণ তারা চোখ থাকতেও দেখে না, কান থাকতেও শোনে না। আর দেশের আপামর জনগণ, তরুণ সমাজ, ছাত্রসমাজ যে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, সেটি গত দুই দিনের সমাবেশে আবার প্রমাণিত হয়েছে।’