বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পিএস হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী মো. মমিনুল ইসলাম। এ সময় মো. ওবাইদুল ইসলাম, নিঘাত রৌদ্রসহ অন্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকের ভাতিজা।
লিখিত বক্তব্যে মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টের সহযোগী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদকে উপাচার্যের পিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেটি নিয়মবহির্ভূতভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম ও আইন ভঙ্গ করে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমতি না নিয়েই এই নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার না দিয়ে উল্টো উপাচার্য কোটায় নিয়োগ বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আগামী রবিবারের (১৭ নভেম্বর) মধ্যে এ নিয়োগ বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদকে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বেরোবি শাখার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল তোফায়েলের চাচা সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক গত ৮ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলার দায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।