চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগে শর্ত ছিল, চাকরিপ্রার্থীর বয়স হবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। কিন্তু সেই শর্ত মানা হয়নি। নিয়োগ পেয়েছেন ৪২ বছর বয়সীও। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেও নিয়োগ পেয়েছেন কেউ কেউ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে এই নিয়োগ নিয়ে।
২০২১ সালের ১০ মার্চ ১০৩টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিভাসু। ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ছয়জনের বিপরীতে আবেদনপত্র নেওয়া হয়। প্রার্থীদের শর্ত দেওয়া হয় স্নাতকোত্তরসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা অথবা স্নাতক পাস প্রার্থীর ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। বয়সের শর্ত দেওয়া হয় ১৮-৩০ বছর; মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩২ বছর।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়োগ পাওয়া কেউ চাকরির শর্ত পূরণ করতে পারেননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পাওয়াদের একজন চন্দন সরকার, জন্ম ১৯৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর। সে হিসাবে তাঁর বয়স প্রায় ৪১ বছর। চন্দন সরকার অবশ্য দাবি করেছেন, বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও এ রকম শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সিভাসুর রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক এনামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে এই নিয়োগ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবেশপত্র পাননি বিভাগীয় প্রার্থীদের কেউ কেউ। প্রবেশপত্র না পাওয়াদের একজন হলেন সিভাসুতে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত জুয়েল মো. বিল্লাল। জুয়েল জানান, সবাইকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিলেও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
না দেওয়ার কারণও বলা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আদেশ দিলেও সিভাসু কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। বরং পাল্টা মামলা পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছে তারা।এ বিষয়ে সিভাসুর রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক এনাম জানান, জুয়েল মো. বিল্লালের ওই পদে চাকরির আবেদন করার যোগ্যতা ছিল না। তাই তাঁকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। হাইকোর্টে রিট করার পর স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর পেছনে টাকা খরচ করবে।