প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। এই দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এবং এসডিজি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে অতিদ্রুত জ্ঞানজগতের পরিবর্তন ঘটছে। শিক্ষাদানে উপযোগী, নতুন নতুন কলাকৌশল এনে এবং তা প্রয়োগের মাধ্যমে অতিদ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন করে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ। এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল-মিলিয়ে চলার জন্যে একটি দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিনির্মাণের নেপথ্যে যিনি নিরলসভাবে কাজ করেন, তিনি- একজন শিক্ষক।
পরিবর্তিত জগতের নতুন জ্ঞান ও কলাকৌশল আয়ত্ত্বে আনতে পারবেন এবং তার অধীত জ্ঞান যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে পারবেন। শিক্ষাকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অনেক দেশই অতিদ্রুত এগিয়ে গিয়েছে/যাচ্ছে। একজন সফল শিক্ষক হওয়ার জন্য কেবল বিষয় সংশ্লিষ্ট জ্ঞান এবং শিখন শেখানো পদ্ধতি বিষয়ক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। বিষয়গত জ্ঞান ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি জ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক, দার্শনিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কেও যেমন জানা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোতে কীভাবে শিখন-শিখানো হয়, কীভাবে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলেন। বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের কালচার এন্ড স্টাডি সেন্টার শিক্ষকদের জন্য এ ধরণের অনেকগুলো এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্যে ফুলব্রাইট টিইএ তেমনি একটি ব্যতিক্রমী প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রামটি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এর সম্পূর্ণ অর্থায়নে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও বিনিময় বোর্ড আয়োজন করে থাকে। সারা বিশ্ব হতে মাধ্যমিক-স্তরের ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের আবেদনকারী শিক্ষকদের মধ্য হতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রায় ৩ হাজার শিক্ষকের মধ্যে থেকে কয়েক দফায় নানা রকমের পরীক্ষার-নিরীক্ষার মাধ্যমে মাত্র ১৬৭ জন শিক্ষককে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেটের বিখ্যাত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদে এই নির্বাচিত ১৬৭ শিক্ষককে বছরে ২টি সেমিষ্টারে পড়ার সুযোগ দেয়া হয়। আমি এই প্রোগ্রামের আওতায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি, বোষ্টনে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করি।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমিসহ বিশ্বের আরো ২০টি দেশ হতে আসা ২১ জন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইউনির্ভাসিটিতে ফেলোশিপ অর্জন করি। ছয় সপ্তাহব্যাপি সেখানকার ৫টি স্কুলে, সে দেশের শিক্ষকদের সাথে প্র্যাকটিস টিচিং করার অনন্য সুযোগ পাই। সৌভাগ্যক্রমে এ্যনডোভার হাই স্কুল নামে একটি বড় পাবলিক স্কুলে প্র্যাকটিস টিচিং এর সুযোগ আসে। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ একটি নতুন পরিমন্ডলে, নতুন শিখন পদ্ধতি, ছাত্র-কেন্দ্রিক শিক্ষা, বিষয়বস্তু-ভিত্তিক নির্দেশনা, পাঠ পরিকল্পনা এবং নির্দেশমূলক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের ওপর অনেকগুলো সেমিনার ও কেস স্টাডির সুযোগ আসে।
মার্কিন পার্টনার শিক্ষকের সঙ্গে তাদের ক্লাসে উপস্থিত থেকে কীভাবে তারা শিক্ষার্থীদের পড়ান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষদের কী ধরনের শেয়ারিং হয়, শিক্ষার্থীর শিখন কাজে সহযোগিতা করেন, একটি বিদ্যালয় কীভাবে একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্বনাগরিক ও একুশ শতকের চ্যালেন্জ মোকাবেলা করার জন্যে যোগ্য করে তোলেন- সে সম্পর্কে সম্মকজ্ঞান লাভ করি। শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশের জন্যে কতো ধরনের বাস্তব জ্ঞানের সমন্নয় ঘটিয়ে একটি বিদ্যালয় হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীর কাছে বিনোদনের কেন্দ্র, অভিভাবকদের কাছে তাদের সন্তানের জন্যে নিরাপদস্থান, এই স্কুলে না গেলে এর সবকিছুই অজানা থেকে যেতো।
প্রথমদিকে আমি, ওই স্কুলের শিক্ষকদের ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষা, গ্লোবাল স্টাডিজ, জার্নালিজম, আইসিটি ও মিডিয়া লিটারেসির ক্লাস পর্যবেক্ষণ করি। মুগ্ধ হয়ে সেখানকার শিক্ষকদের বিষয় উপস্থাপনা, শ্রেণি সঞ্চালন, শিক্ষার্থীদের ব্যস্তকরণ, শ্রেণি ব্যবস্থাপনা, এবং ছাত্র মূল্যায়নসহ অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলো অবলোকন করি এবং এসব ক্ষেত্রে আমি এতোদিন এই কাজগুলো আমার স্কুলে যেভাবে করতাম- তার একটি তুলনামূলক আত্নপর্যালোচনা করে টিচিং প্র্যাকটিসকে উন্নত করার সুযোগ পেলাম।
স্কুলটি অনেক বড়, কিন্তু কোন ক্লাসেই ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নেই। একটি ক্লাসে একজন শ্রেণি শিক্ষক থাকেন এবং তাকে সহযোগিতা করার জন্য ক্লাসরুমে আরো দুই জন সহ শিক্ষককে দেখলাম। প্রতিটি ক্লাসরুমেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভরপুর ছিলো। যেমন : ওয়াইফাই প্রজেক্টর, বিশাল ইন্টারেক্টিভ র্স্মাটর্বোড, প্রচুর পরিমাণে পোস্টার পেপার, মার্কার, বই-পুস্তক, জার্নাল ও দৈনিক সংবাদপত্র। এসবের কোনো কিছুরই কমতি নেই। আরো মজার বিষয় হলো পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের ছবি এবং তাদের কিছু প্রাসঙ্গিক অমীয়বাণী নান্দনিকভাবে স্কুলের করিডোরে ও শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে সাঁটানো। অর্থাৎ স্কুলে ঢোকার পর একজন শিক্ষার্থী যে দিকেই তাকাবে, সে অবশ্যই কিছু না কিছু জানবে অথবা কোন না কোন বিখ্যাত ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের রয়েছে মোবাইল, ট্যাব, নোটবুক ও ল্যাপটপ ব্যবহারের অবারিত সুযোগ। স্ট্রং ওয়াইফাই থাকার পরেও কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের নিজস্ব ডোমেইন ব্যতিত অন্য কোন ধরনের সোসাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে না। অর্থাৎ ইন্টারনেট কেবলমাত্র পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড স্বাধীনতা দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরাও স্বাধীনতার কোনরকম অপব্যবহার করেন না। একজন শিক্ষক একটি সেমিস্টারে যা পড়াবেন, তার সিলেবাস বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া থাকে এবং ওয়েবসাইটে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সিটি মেয়র ও শিক্ষা অফিসার সম্পৃক্ত থাকেন। একজন শিক্ষক এক সপ্তাহে কি পড়াবেন এবং কতটুকু পড়ানো হয়েছে তার একটি হিসাব ওয়েবসাইটে শ্রেণিভিত্তিক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা আপলোড করে থাকেন। একটি মজার বিষয় হলো এ বিদ্যালয়টি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হলেও প্রতি বছর শিক্ষকদের চাকরি নবায়ন করতে হয়। একজন শিক্ষককে একটি শিক্ষাবর্ষে কমপক্ষে বিষয়ভিত্তিক চারটি গবেষণা সম্পন্ন করতে হয় এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এবং বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের কাছে জমা দিতে হয়। তার এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী বছরে ঐ শিক্ষকের বেতন কতটুকু বাড়বে, তা নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ একজন শিক্ষককে পর্যাপ্ত পড়াশোনা করতে হয়। উল্লেখ্য যে, সেদেশে শিক্ষকরা এমনিতেই ঈর্ষণীয় বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বিদ্যালয় শিখন-শেখানো কার্যক্রম, লেসন প্ল্যান, সেমিস্টার ভিত্তিক সিলেবাস, প্রয়োজনীয় নোটস ও সহায়ক বই বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। স্কুলের শিখনসামগ্রী ও অনলাইন ম্যাটেরিয়ালস মিলে আমার কাছে বিদ্যালয়কে একটি উন্নত গবেষণাগার মনে হলো। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়েই দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়েই রয়েছে ইনডোর গেমস, ব্যায়ামাগার, সংগীত ও কালচারাল ক্লাস, মিডিয়া লিটারেসি, ফুড এ্যান্ড বেভারেজ ক্লাস। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এগুলো বাধ্যতামূলক। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসেম্বলীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্টাফদের সামনে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং ওই ক’দিন আমাদের তাদের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন, যা সত্যিই মনে রাখার মতো।
এই প্রোগ্রাম নিবিড়ভাবে পর্যকবেক্ষণের মাধ্যমে পাঠদানের কৌশলগত উন্নয়নের একটি অনন্য সুযোগ হয়েছিলো আমাদের। প্রোগ্রামটি মূলত একটি নন-প্রফেশনাল ডিগ্রি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে আমাদেরকে মূলত শিক্ষাবিদ্যা, শিক্ষাবিষয়ক নেতৃত্ব, নির্দেশনামূলক প্রযুক্তি, জেন্ডার সেমিনার, পাঠ পরিকল্পনা, গবেষণা কার্যক্রমের ওপর ব্যাপক ধারণা দেয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশ হতে আসা শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে, শিখন কার্যক্রমে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে তারা কীভাবে ভূমিকা রাখেন, এসব কিছু জানার ও বোঝার অনন্য প্লাটফর্ম তৈরী করেছে এই প্রোগ্রাম।
আমার আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি ছিলো প্রশিক্ষণের প্রযুক্তি বিষয়ক অংশ। প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, আমাদেরকে প্রশিক্ষণের প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক টুলস সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। বাস্তবিকভাবে আমাদের দক্ষতা বিকাশ ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্য পূরণের জন্য সুন্দর ভাবেই কোর্স পরিকল্পনাটি সাজানো হয়েছিলো। এখন আমি জানি, কীভাবে পাঠদান প্রক্রিয়াকে আরো আনন্দদায়ক করা যায়, শেখার এক অনন্য সুযোগ করে দেয় এই প্রশিক্ষণ। এককথায় বলবো, এই প্রোগ্রাম আমাকে লোকাল ও এনালগ সিস্টেম হতে বের করে, করেছে গ্লোবাল ও টেক / ডিজিটাল শিক্ষক।
সময় খুব দ্রুত চলে যায়! ছয় সপ্তাহ সময় যেন অতি দ্রুতই পেরিয়ে গেছে। কোনো সুতো ছাড়াই হাজারো রঙিন স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা সেলাই করে দিয়েছে মনের দীপালীতে। ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রোগ্রামের শেষ ৩ দিনের কর্মশালা ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছিলো জমজমাট। পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী প্রায় ১১৩ জন শিক্ষকের এক মিলনমেলায় রূপান্তর ঘটেছিলো হোটেল হিলটন ইন্টারন্যাশনালে। হোটেল হতে সামান্য দূরেই ছিলো হোয়াইট হাউজ। সমাপনী কর্মশালায় আমি ‘ব্রিজিং টু গ্লোবাল এডুকেশন’ নামে একটি থিমেটেক প্রেজেন্টেশান উপস্থাপন করি। যার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য ফেলোদের প্রশংসা অর্জন করতে পেরেছিলাম। শেষ মূহূর্তে আমার এই প্রেজেন্টেশনের জন্যে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ব্যুরো এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা ও বিনিময় বোর্ডের কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার লাভ করি সেরা উপস্থাপক হিসেবে। সমাপনী অধিবেশনটি মূলত নানান ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে সকল ফেলোদেরকে একটি পেশাদার নেটওয়ার্কিং- এ যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি এখন একজন ফুলব্রাইট অ্যালামনি।
প্রোগ্রাম শেষে দেশে ফিরে আসি ১৭ মার্চ এবং ১৮ মার্চ হতে স্কুল-কলেজসহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোভিডের কারণে বন্ধ ঘোষিত হয়। সব কিছু স্থবির হয়ে যায়। শুরু হয় একটি নতুন যুদ্ধ, যে যুদ্ধের কল্পনা আমরা কেউ কখনো করিনি। ঘরে বসে শুরু হয় অনলাইনে সকল কার্যক্রম। আমার এই ফেলোশীপের উল্ল্যেখযোগ্য অংশজুড়ে ছিলো আইসিটি লার্নিং, যা আমাকে এই যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। কোভিডকালীন শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে নিতে, সহকর্মীদেরকে অনলাইন সংক্রান্ত নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা, আমার প্রিয় জন্মস্থানের স্থানীয় অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে অনলাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি। হয়ত এমন একটি প্রোগ্রামে যেতে না পারলে, আমার পক্ষে কোনভাবেই তা সম্ভব হতো না।
আমি, আমার এই লেখার পাঠক সকল শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো যে, যখনই এ ধরণের কোন সুযোগ আসবে, চেষ্টা করবেন, আবেদন করতে, প্রথমবার সফল হোন বা না হোন, এতে আপনার স্বপ্নের পরিধি বাড়বে। আর যেতে পারলে দিগন্তকে ছাড়িয়ে যাবেন আপনি, আপনার মেধা ও মননে।
লেখক : মোহাম্মদ সোলায়মান, শিক্ষক, গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা