পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান গাজী মিজানুর রহমানকে ফুলের মালা পরানো পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মজিবুল হক নেছারাবাদ থানায় কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই মজিবুল হককে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান জয়লাভ করেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থকরা পাটিকেলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সামনের বাড়িতে জড়ো হয়ে উল্লাস করতে থাকেন।
এ সময় সেখানে ফুলের মালা নিয়ে যান ওই এসআই। সেখানে বিজয়ী চেয়ারম্যানের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন তিনি। তখন মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন অনেকে।
বিষয়টি ফারজানা আক্তারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনা হয়। এরপর রাতেই পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রব সিকদার মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফারজানা আক্তার মারা যাওয়া চেয়ারম্যানের পুত্রবধূ।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান মিজান অটোরিকশা প্রতীকে তিন হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারজানা আক্তার পেয়েছেন তিন হাজার ১৯০ ভোট।