বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। লিভার সিরোসিসের কারণে পেটে পানি আসা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে তার শরীরে টিপস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এটিই চূড়ান্ত চিকিৎসা নয়। এখন লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি।
এর আগে, সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস জটিলতার কারণে ফুসফুসে পানি জমা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস) পদ্ধতি শুরু করেছেন মার্কিন চিকিৎসক দল। সন্ধ্যা ৬টায় তারা অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
এদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। তারা হলেন- ক্রিস্টোস জর্জিয়াডস, জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও হামিদ আহমেদ আব্দুর রব।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কয়েক দফায় তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতেও তাকে এক দফা সিসিইউতে নেয়া হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।