ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এক কিশোর (১৫) ও তার বাবাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
পরে এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত মো. কুতুবউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম প্রধান অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি শহিদুল জানান, গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে এক কিশোর ও তার বাবাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে সোমবার (২০ মার্চ) মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রধান অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। ওই কিশোর ও তার বাবা পৃথক দুটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরের মা প্রবাসে রয়েছেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা শিশু তার সৎ বোন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ওই কিশোরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ বোনকে যৌন নির্যাতন করে আসছে বাবা-ছেলে মিলে। এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে কয়েকজন যুবক ও তরুণী মিলে মারধর করে। পরে, নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তোলা হয়।
এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা জড়িত আছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলেছি।