আমাদের বার্তা, পবিপ্রবি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটু বাতাস হলেই থাকে না বিদ্যুৎ। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমনটা বারবার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব পটুয়াখালী জেলাসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় আঘাত হানে। অথচ পবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হলগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ রোববার রাত থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হলগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
পবিপ্রবিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটর রয়েছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হলগুলোতে জেনারেটর চালিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। অথচ প্রতিটি শিক্ষার্থী জেনারেটর বিল বাবদ ১৫০ টাকা ফি দিয়ে থাকেন। তারপরও বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা জেনারেটরের সেবা থেকে বঞ্চিত।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেনারেটর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্যাবল রয়েছে তা কৃষি কলেজ আমলের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে কোনো জেনারেটর বা বিদুৎ সাব-স্টেশন স্থাপন করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, গত রোববার মধ্যরাতের পর থেকে হলে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর গোসল এবং খাওয়া-দাওয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেয়েছেন।
২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম জয় বলেন, আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় খাওয়া-দাওয়া ও পড়ালেখা থেকে শুরু সবকিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া আমরা একটু বাতাস বা বৃষ্টিতেই বিদুৎহীন অবস্থায় পড়ি আমরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুস শরীফ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্ব যে রয়েছে তার সঙ্গে কথা বললে ভলো হবে। প্রধান প্রকৌশলী আসলে জেনারেটরের দায়িত্ব না৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, প্রয়োজনীয় মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন ১১ কেবি ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর কেনার জন্য টেন্ডার করা হয়েছে।