টাঙ্গাইলে স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার স্কিনিং প্রোগামের আওতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের পাঁচ শতাধিক নারীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গত শনিবার দিনব্যাপী টাঙ্গাইল শহরের রাইফেল ক্লাবে সংসদ সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলীর বিশেষ উদ্যোগে এ সেবার আয়োজন করেন সেলিমা ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপি ও সেল থেরাপি বায়োমেড মলিকুলার ডায়াগনস্টিকস্। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও এসব রোগীদের বিনামূলে্য প্রয়োজনীয় ল্যাব টেস্ট করানো এবং ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য খ মমতা হেনা লাভলী। উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। প্রধান বক্তা ছিলেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. তাসনিম আরা। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়ার সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মো. ইবনে সাঈদ ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।
মেডিক্যাল ক্যাম্পের শুরুতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অংশগ্রহণে স্তন ও জরায়ু সম্পর্কে সচেতনামূলক সেমিনার করা হয়। এরপর ছয়জন ডাক্তার নারীদের সেবা দেন।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী এলাকার নামজা বেগম (৪৫) দীর্ঘ দিন যাবত গাইনী রোগে ভুগছেন। বিনামূল্যে ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষা ও ওষুধ পেয়েছেন। এতে তিনি খুব খুশি। শুধু নাজমা বেগম নয়, তার মতো পাঁচ শতাধিক নারীকে মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে সংসদ সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলীর সহযোগিতায় টাঙ্গাইলে ফ্রি মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কালিহাতী উপজেলা গোহালিয়া গ্রামের হুনুফা বেগম বলেন, দুই বছর যাবত আমার সমস্যা দেখা দিয়েছে। আজকে এখানে এসে সবই ফ্রিতে পেয়েছি। গ্রাম পর্যায়ে ফ্রিতে চিকিৎসা দেয়া হলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. তাসনিম আরা বলেন, ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। দিন দিন স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে নারীদের সচেতন করতে সেমিনার করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ নির্ণয় করতে পারলেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করে রোগীদের সহজেই সুস্থ করা যায়।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলী বলেন, নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করতে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এই ক্যাম্পটি আমার আরো আগে করার ইচ্ছে ছিলো, কোভিডের কারণে করতে সময় লেগেছে। আগামীতে গ্রামের অবহেলিত নারীদের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের ক্যাম্প করা হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর এ ধরণের আয়োজন করার ইচ্ছে আছে।