২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন মোহাম্মদ হাফিজ। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি দীর্ঘ ১৯ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তিনি। ব্যাট-বলের ব্যস্ততায় শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি করা হয়নি হাফিজের। অবসরের পর এবার ব্যাচেলর ডিগ্রি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। ভর্তি হলেন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে। খবরটি দিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিওটিভি।
শুক্রবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সের (এইচপিইএসএস) ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তি হন মোহাম্মদ হাফিজ। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়া ক্রিকেটারের ভর্তি প্রসঙ্গে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি আশা করেন এইচপিইএসএস তার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্নপূরণে সহায়তা করবে।’
ভর্তির কার্যক্রম শেষে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইরাকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোহাম্মদ হাফিজ। সেখানে এইচপিইএসএস’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর বাসিত আনসারিও উপস্থিত ছিলেন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ইরাকি মোহাম্মদ হাফিজের প্রশংসা করে বলেন, ‘মানসিক এবং শারীরিক উন্নতির জন্য আমাদের যুব সমাজের খেলাধুলায় অংশ নেয়া উচিত।’ উপাচার্য ডক্টর মোহাম্মদ ইরাকির আশা, সাবেক পাকিস্তান অধিনায়কের ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা থেকে বাকি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।
উপাচার্য জানান, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের জন্য পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সকল ক্রীড়াবিদ পাকিস্তানকে গর্বিত করেছেন, তাদের জন্য সব প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়।
দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৫৫ টেস্টে ১০ সেঞ্চুরি এবং ১২ ফিফটিতে ৩ হাজার ৬৫২ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। ২১৮ ওয়ানডে ম্যাচে গড় ৩২.৯০ এবং ৭৬.৬১ স্ট্রাইক রেটে ৬ হাজার ৬১৪ রান করেন তিনি। ৫০ ওভারের খেলায় ১১ সেঞ্চুরি এবং ৩৮ ফিফটি হাঁকান হাফিজ। আর ১৯৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২ হাজার ৫১৪ রান করেন তিনি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি হাফিজ। ফিফটি হাঁকান ১৪টি।