ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগদানের জন্য পাঁচটি বাস বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের জোর করে সমাবেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি চত্বর সংলগ্ন সড়ক থেকে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেয়।
পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে পরিবহন অফিসে বাস চেয়ে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান লিটন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি দ্বিতল বাস বরাদ্দ দেয় পরিবহন অফিস।
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার উদ্দেশে বাস বরাদ্দ দেওয়া বৈধ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন অফিসের পরিচালক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাস বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদন ফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের সুপারিশ ছিল। প্রক্টরের সুপারিশ থাকলে আমরা বরাদ্দ না দিয়ে পারি না।
সুপারিশ করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো সংগঠন আবেদন করলেই আমি সুপারিশ করি। বাস বরাদ্দ দেওয়ার দায়িত্ব পরিবহন অফিসের। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে পারবে কি না- এমন নিয়মের বিষয়ে আমি পরিষ্কার জানি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের গণরুমে থাকা বেশ কয়েকজন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জানান, বুধবার রাতে ৫০তম ব্যাচের বড় ভাইয়েরা আমাদের নিয়ে বসেছিল। সমাবেশে না গেলে হল সিট পাওয়া যাবে না বলে দিয়েছেন তারা। কর্মসূচিতে না গিয়ে তো উপায় নেই আমাদের।
এদিকে জোরপূর্বক কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, কাউকে জোর করে সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেসব শিক্ষার্থী মনেপ্রাণে ছাত্রলীগকে ভালোবাসে, তারা স্বেচ্ছায় কর্মসূচিতে যাচ্ছে। বাস বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রক্টর অফিস এবং পরিবহন অফিসের অনুমোদনে ৫টি বাস বরাদ্দ পেয়েছি। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নেওয়া যাবে কি না- এমন নিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই।