দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিলন চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আহলান সাহলান-মাহে রমজান’, ‘সাওম সালাত ইফতার-মুসলমানদের অধিকার’, ‘ক্যাম্পাসগুলোতে কনসার্ট হলে-ইফতার পার্টিও হতে হবে’, ‘ক্যাম্পাসে কনসার্ট হলে সমস্যা কী ইফতার হলে’, ‘রমজান ইফতার-অধিকার অধিকার’,— ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মুসলিমদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রোজা রাখা, ইফতার করা। মুসলিমরা রোজা রাখবে এটাই স্বাভাবিক। আজ কোনো একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে মুসলমানদের সংস্কৃতি থেকে এটা মুছে দিতে। তারই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা এটা মানতে পারি না। আমাদের আস্থার জায়গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম করে একটা চক্র এই কাজ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম, তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। তাকে ব্যবহার করে কেউ এটা করার চেষ্টা করছে।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বেশিরভাগই মুসলিম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও এমন নিষেধাজ্ঞা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই খেজুরের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, রাবিতে গরুর মাংস নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কুচক্রী মহল যত ষড়যন্ত্র করবে আমরা আরও বেশি বেশি ইফতার করবো। যেখানেই মুসলিম কমিউনিটি আছে সেখানেই ইফতার হবে। ক্যাম্পাসে ইফতার হবে, রোজা হবে, শিক্ষার্থীরা কোরআন তিলাওয়াত করবে, কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে আমরা এটা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’