বুটেক্স উপাচার্য শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ - দৈনিকশিক্ষা

বুটেক্স উপাচার্য শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বুটেক্স |

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে আচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। 

উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি লেখেন, বুটেক্সের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সততা, দক্ষতা, ডেডিকেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করে গেছি। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পরের দিন থেকেই সমস্ত দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হলেও পদোন্নতির দাবিতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলন শুরু করে, যার সাথে পরবর্তীতে কিছু শিক্ষকও যোগ দেয়। কিন্তু প্রায় সবাই আমার ওপর আস্থা রেখে ক্লাস শুরু করে।

  বিগত কয়েক সপ্তাহে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আমার বিরুদ্ধে যেসকল মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানি রিপোর্ট, সংবাদ ও অভিযোগ প্রচার করে যাচ্ছে ১০টি বিভাগের মধ্যে ২টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, যা আমার জন্য বেদনাদায়ক।  

তিনি আরও লেখেন, যাদের জন্য আমি দিনরাত এক করে কাজ করে গেছি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য সেখানে তারাই প্ররোচনাকারীদের মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে ফেলে আমাকে ভুল বুঝে সেখানে আমার আর এই দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না। আমি সরে এসেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলা পালনের স্বার্থে আমি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করব। 

অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি চাইলে পদত্যাগ নাও করতে পারতাম। একমাত্র চ্যাঞ্চেলর ছাড়া আর কারো ক্ষমতা ছিল না আমাকে অপসারণ করার। আমি চেয়েছি, আমার সারা জীবনের অর্জন, শিক্ষক হিসেবে যে সম্মান তা এসেছে শিক্ষার্থী বান্ধব হওয়ার কারণেই। আমি এই অর্জন হারাতে চাই না। সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা নিয়ে যে ইস্যু তৈরি হয়েছে, তা পরিকল্পিত। ৭ তারিখে সিন্ডিকেট করতে পারলে এটা পাশ হয়ে যেত, একেবারে হুবহু তাই পাশ করতাম যে ফর্মে একাডেমিক কাউন্সিলে পাশ হয়েছিল। 'জরুরী সিন্ডিকেট' বলতে যা বুঝায় তার পরিবেশ এটা নয়। আমার পদত্যাগও বরং সহজ। আর যেহেতু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাও করবে না, তাই আমি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় নিতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিত্ব ও ব্রান্ডিং-এর বিপক্ষে।

ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035800933837891