জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাইদের মহাপনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বুয়েট খেলার বুয়েট এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশ-বিদেশের প্রায় ৬ হাজার প্রকৌশলী এবং তাদের পরিবারবর্গ এ মহাপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছিলো উদ্বোধনী অধিবেশন, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশ ভোজ ও বুয়েটের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কার দেয়াসহ বিনোদনের আরও অনেক আকর্ষণীয় কার্যক্রম। সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ আয়োজনে অংশ নেয়ায় মহাপুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এক মহামিলনে পরিণত হয়।
পুর্নমিলনী উপলক্ষে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে বুয়েটের খেলার মাঠ। এই মাঠের পাশে উদ্বোধনীর নয়নাভিরাম মঞ্চ। মঞ্চের পাশে কফি বুথ, মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশ ভোজনের জন্য প্যান্ডেল। এর পাশে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিশুদের জন্য খেলার আয়োজন, যেখানে ছিলো, বাইস্কোপ, পুতুল নাচ, রাইট, নাগরদোলাসহ আরও অনেক কিছু।
মহাপুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েট এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
অনুষ্ঠানের বক্তারা বুয়েট এ্যালামনাইদের দেশে-বিদেশে অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদান, বুয়েট এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ, বিগত দিনের কার্যক্রম, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নানামূখী পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আগামীতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেশি প্রশিক্ষিত হয়ে বের হবে।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিলো ‘প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ’। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।