বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত বাদীর নারাজি গ্রহণ করে এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী ২৪ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে উপস্থিত হন। তিনি এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছে। ডিবি পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নূর উদ্দিন রানার দেওয়া নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর ওই বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৬ নভেম্বর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি বুশরার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
এ সময় মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতার আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।