পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরিতে বিভ্রাটের ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, পরিচালক (প্রশাসন) এসএম আনছারুজ্জামান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) উত্তম কুমার দাশ এবং পরিচালক (আইএমডি) শাহীনূর শাহীন খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আজ থেকে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, তদন্তে যাদের প্রশাসনিক দায় প্রমাণিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিকে বৃত্তির ফল-সংশ্লিষ্ট ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোছা. নূর জাহান খাতুনকে প্রধান করে গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে কয়েক দিন আগে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পর ফলে নানা ত্রুটি ধরা পড়ে। পরীক্ষা না দিয়েই অনেকেই বৃত্তিপ্রাপ্তের তলিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। আবার কেউ কেউ বেশি নম্বর পেয়ে বাদ পড়ে। ৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর ফলে ক্রটি ধরা পড়ে।
এ কারণে প্রকাশের চার ঘণ্টার মধ্যে ফল স্থগিত করতে বাধ্য হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সংশোধন করে পরদিন রাতে ফল পুনঃপ্রকাশ করা হয়! পুরো বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।