দৈনিক শিক্ষা প্রতিবেদক: রাজধানীসহ সারা দেশ গত তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে । আজ এই ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
গতকালের চেয়ে আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমেছে। তীব্র ঠান্ডায় নিজেকে বাঁচাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে অনেক স্থানে। সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এটা সত্যিই কষ্টের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা কমে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হলেও বৃষ্টি না হলে এই তাপমাত্রা বাড়বে না। আগামী বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা একটু কম থাকলেও ১৮, ১৯ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের প্রায় সবখানে তাপমাত্রা কমলেও রাজধানীতে কিন্তু গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শীতের এই তীব্রতা আগামীকাল সোমবারও থাকতে পারে। তবে কাল থেকে দেশের কিছু কিছু এলাকায় রোদের মুখ দেখা দিতে পারে। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে কাল দুপুর পর্যন্ত। এক আবহাওয়াবিদরা অবশ্য বলছেন, আগামীকাল রাজধানীতে রোদ উঠতে পারে।
আজ রোববার সকাল ৯টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজ বলেন, কাল তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী পরশু (মঙ্গলবার) থেকে তাপমাত্রা একটু করে বাড়তে শুরু করবে। আগামী বুধবার থেকে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর কুয়াশা অনেকটা কেটে যাবে। এরপর শীতও কমতে শুরু করবে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিম্নগতি দেখা গেলেও আজ রোববার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ এ নগরীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল দেশের অন্তত ১১ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেটা আজও চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। তবে এ মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।