দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন লিটন দাস এবং রনি তালুকদার। তাদের সেই সূচনার ওপর ভর করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রানের পাহাড়ও গড়েছে বাংলাদেশ। ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান তোলার পরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার যে সুবিধা, সেটা শুরুতে আদায় করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। বরং উল্টো বাংলাদেশের দুই ওপেনারই চেপে বসেছিল আইরিশ বোলারদের ওপর। দুই ওপেনার মিলে ৭.১ ওভারে হরে ৯১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস।
তবে আফসোস তার জন্য। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার পর নিজের হাফ সেঞ্চুরিটা পূরণ করতে পারেননি। আউট হন হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে। ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে ৮ম ওভারের প্রথম বলে পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
লিটন দাস আর রনি তালুকদারের উড়ন্ত সূচনার পর মাঠে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। ১৩ বলে ১৪ রান করে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যারি টেক্টরের বলে স্টাম্পিং হয়ে গেলেন শান্ত। ১১৮ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
তবে লিটন আর শান্ত আউট হলেও রনি তালুকদার তার বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত ছিল। মাত্র ২৪ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৭ রানে আউট হন তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন রনি।
শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে ব্যাট করতে পাঠানো হয় চার নম্বরে। ২০ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মেরে আউট হন শামীম। তাওহিদ হৃদয় ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ রানে এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১ বলে ৪ রান করার পরই বৃষ্টি নামে।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডেয়ার, লরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডেয়ার, ক্রেইগ ইয়ং, গ্রাহাম হিউম এবং বেন হোয়াইট।