বেশি ‘লাফালাফি’ করলে ডান্ডা মেরে নয়, বরং ইউরেনিয়াম দিয়ে বিএনপির মাথা ঠাণ্ডা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে তারা নাকি রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু মির্জা ফখরুল, কিছু মঈন খান, কিছু মির্জা আব্বাস এবং কিছু রিজভীর মাথায় দিয়ে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম দিয়ে ঠান্ডা করে দেব।
সোমবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন! ঢাকায় এলে বিএনপিকেই অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল এবং জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। এই খেলায় ফাউল করলে বিএনপি লাল কার্ড পাবে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে, তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক আছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদের উত্থান চাই না। দেশের গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলী গিয়ে শেষ হয়।