বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ)। বুধবার (১৪ আগস্ট) এ দাবি জানান তারা।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জাতীয় বাজেট থেকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনও প্রকার সরকারি বরাদ্দ বা অনুদান পায় না। ফলে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলতে হয়।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জমা করা হয়। সরকার ওই ফান্ড থেকে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স কেটে নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সামগ্রিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দেশের উন্নয়নে গবেষণার কোনও বিকল্প নেই। গবেষণার অর্থ ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসেবে কেটে নিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার যেখানে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রে মেধার বিকাশ ও শিক্ষিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য সর্বস্তরের শিক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দেয়, সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর এ ধরনের করারোপ উচ্চশিক্ষায় বৈষম্য ছাড়া কিছুই নয়। অতীতে ২০১০ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আরোপের চেষ্টা করা হলে তখন সেটির বিরুদ্ধে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন' হিসেবে ছাত্রসমাজ সোচ্চার হয়েছিল। ফলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় সরকার।
বিগত সরকার অন্যায়ভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপ করে, যা কোনও অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন তা প্রত্যাহার সময়ের দাবি বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।