গণআন্দোলনের গতিপথ বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই 'সম্মানের' প্রশ্নে আন্দোলনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এই প্রতিরোধই আন্দোলনের নতুন গতিপথ তৈরি করে এবং এটি 'নিউ মিডিয়া'র ভূমিকার প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “১৮ এবং ৩০ জুলাই এ আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ এবং ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাকে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শনের ঘটনাগুলো আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।”
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রামের আয়োজনে ‘দ্য রোল অব নিউ মিডিয়া ইন রেভল্যুশন অ্যান্ড রি-বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ মানজুর আল মাতিন বলেন, “রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং এনএসইউর গ্রুপগুলোতে আমি দেখেছি কীভাবে ‘সিভিল ওয়ার’-এর পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল। এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার এক অনন্য উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সংগ্রাম এখনও অব্যাহত রাখতে হবে। এটি ‘নিউ মিডিয়া’র অবদানের একটি বড় উদাহরণ।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউর এমসিজে প্রোগ্রামের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম ইমশিয়াত। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।