বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় চাচাতো বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন দুবাই ফেরত আব্দুল জব্বার শেখ। এই হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ মুন্সিসহ (৩০) তিন ঘাতককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার দিবাগত রাতে যশোর জেলা সদরের শাখারীগাতি এলাকা থেকে র্যাব- ৬ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। অপর দুই আসামি হলেন, দ্বীন ইসলাম ওরফে আকাশ মুন্সি (২৬) ও ছত্তার ওরফে ডাবলু মুন্সি (৫৫)।
গ্রেফতারকৃতদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার গোড়ানালুয়া গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আব্দুল জব্বার শেখ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আসামিদের দুপুরে চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, চিতলমারী উপজেলার গোড়ানালুয়া গ্রামের জালাল শেখের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী আসমাকে রাস্তায় একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে অভিযুক্তরা। এঘটনার প্রতিবাদ করায় শুক্রবার (৫ মে) রাত ১০টার দিকে গোড়ানালুয়া গ্রামের ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাই দুবাই ফেরত প্রবাসী আব্দুল জব্বার শেখ ও তার শ্যালক রাজিব শেখকে ছুরিকাঘাতে করে গুরুতর আহত করে দেলোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ মুন্সি, দ্বীন ইসলাম ওরফে আকাশ মুন্সি ও ছত্তার ওরফে ডাবলু মুন্সি। স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুইজনকে দ্রুত চিতলমারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুল জব্বার শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শ্যালক গুরুতর আহত রাজিব শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দুটি বাড়ির ৪টি বসতঘরসহ ধান ও খড়ের গাদা পুড়িয়ে দেয়। পর দিন শনিবার নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে আসামিদের নামে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব ৬ আসামিদের আটকে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর রাতে যশোর জেলা সদরের শাখারীগাতি এলাকা হতে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ মুন্সিসহ ৩ ঘাতককে গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাব আসামিদের দুপুরে চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।