জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসররা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছে আমরা যেন সফল না হই। কোনোভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই কারোই অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ ৫৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইউসুফ আলী, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেনসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম বলেন, এমন অনেক শহীদ পরিবার রয়েছে যাদের দাফন করতে দেয়া হয় নাই। তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়া হয় নাই। তাদের হয়রানি করা হয়েছে। এখন যদি খুনি হাসিনা আসে এখনই একই কাজ করা হবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের দায়িত্ব যে স্বপ্ন নিয়ে যে স্পিরিট নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছে তা রক্ষা করা।
পুলিশ প্রশাসন, জেলা ও বিভাগীয় প্রশানের কাছে অনুরোধ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরকারের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করব, একইভাবে আমরা প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার কাজে সহযোগিতা করব। যারা এই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল, যাদের ভিডিও ফুটেজ, ছবি ক্লিয়ার ডকুমেন্ট রয়েছে সে যে পরিচয়েরই হোক না কেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা যদি মনে করি, সে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতা বা সে পুলিশের সদস্য, অথচ সে সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তার ছবি-ভিডিও ও ডকুমেন্ট আছে, তারপরও কিছু করাটা রিস্কি, তাহলে আমরা মনে করি, আপনারা আমাদের এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করেন না।
আপনি তাহলে এই দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে পারেন। এটা শুধু আমাদের নয়, এখন যারা প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করছে এটা তাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টস আছে তাদের বিচারিক পক্রিয়ায় যেন বিন্দুমাত্র দয়া দেখানো না হয়। এটা যদি করা হয় বা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যদি করা শুরু করে তাহলে একসময় দেখা যাবে কোনো বিচারই হচ্ছে না। মিশরে যেটা হয়েছিল যে অসংখ্য স্বপ্ন দেখানোর পর সরকার আসল।
এরপর একবছর পরে সে সরকার আর টিকল না। নতুন করে সামরিক শাসনের কাছে গেল। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু হলো। আমাদের কঠোর ব্যবস্থা প্রত্যেকের জায়গা থেকে পূরণ করতে হবে। বর্তমানে সে কনস্টেবল তাকে তার দায়িত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যিনি বিভাগীয় কমিশনার তাকেও তার দায়িত্ব থেকে পুরো দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি বেঁচে থাকি, আমরা কোনো শহীদ পরিবার বা আহত যোদ্ধার গায়ে একটা আচর পর্যন্ত লাগতে দেব না। আমরা যদি বেঁচে থাকি কোনো শহিদ পরিবার বা আহত কোনো ভাইকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবন অতিবাহিত করতে হবে না।