ওজন কমাতে এখন অনেকেই ব্যায়াম করেন। কিন্তু সুফল পান না। নিয়মিত কষ্ট করেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে তারা ভেঙে পড়েন। ব্যায়াম করেও যদি ওজন না কমে তাহলে বুঝতে হবে কোথাও ভুল হচ্ছে। সে ভুলগুলোকে শনাক্ত করে, শুধরে নিন। তাহলেই উপকার পাবেন।
যেসব ভুলে ব্যায়াম করেও ওজন কমে না
খাবারের পরিমাপের ঠিক নেই
ওজন কমাতে চাইলে বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে। অন্যথায় হাজার ঘাম ঝরানোর পরও ওবেসিটিকে বশে আনতে পারবেন না। তাই দেরি না করে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। ঠিক কোন খাবার কতটা খাবেন তা জেনে নিন। তারপর সেই নিয়ম মেনে খাবার খান।
কম প্রোটিনেও বিপদ
প্রোটিন হলো একটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। এই উপাদানটি পেশির গঠনে ও বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেলে ওজন দ্রুত কমে। তবে অনেকের ডায়েটে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট খুবই কম পরিমাণে থাকে। যার ফলে তাদের ওজন কমে না। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, সয়াবিন, পনির থেকে শুরু করে একাধিক উচ্চ প্রোটিনের খাবার খান।
ফাইবার কম খেলেও সমস্যা
ওজনকে বশে রাখতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ, ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আর পেট ভরা থাকলে খিদে পায় কম। ভাজা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে শাক, সবজি, ফল, ডালিয়া, ওটস ও আটার রুটি ইত্যাদি রাখুন।
রোজ একই ওয়ার্কআউট করা
অনেকেই জিমে গিয়ে রোজ একই ধরনের ব্যায়াম করেন। যার জন্য কাঙ্খিত ফল মেলে না। একই ধরনের এক্সারসাইজ করলে কিছুদিনের মধ্যেই শরীর তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তখন ফ্যাট পুড়তে চায় না। ফলে ওজন যা ছিল তাই রয়ে যায়। তাই কিছুদিন পর পর নিজের ওয়ার্কআউট রুটিন বদলে ফেলুন।
ঘুম না হলেই বিপদ
রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হলে বিপদ। কেননা ওজন বাড়ার সঙ্গে অনিদ্রার যোগ রয়েছে। ঘুম না হলে হাজার ব্যায়াম করেও ওজন কমে না। তাই অন্ততপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ৩ লিটার পানি পান করুন। এতে বিপাকের হার বাড়বে। দ্রুত ওজন কমবে।