ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। তাও পেলের শুভেচ্ছাবার্তা পেলেন নেমার। অসুস্থ প্রাক্তন ফুটবলার সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের বিছানা থেকেই চোখ রেখেছিলেন ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে।
অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন পেলে। ফুসফুসের সংক্রমণ কমে গেলেও আপাতত রয়েছেন হাসপাতালেই। চিকিৎসা চলছে তাঁর। টেলিভিশনে দেখছেন বিশ্বকাপের খেলা। শুক্রবার ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচও দেখেছেন তিন বার বিশ্বকাপ জয়ী প্রবীণ ফুটবলার। ব্রাজিল টাইব্রেকারে জিততে না পারলেও প্রথমে নেমারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। সেই গোলেই পেলের কৃতিত্ব স্পর্শ করেন নেমার। ব্রাজিলের হয়ে ৭৭টি গোল করেছিলেন পেলে। শুক্রবার দেশের হয়ে ৭৭তম গোল করে পেলের নজির ছুঁয়েছেন নেমার।
নেমারের কৃতিত্বে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পেলে। সমাজমাধ্যমে পেলে লিখেছেন, ‘‘আমি তোমাকে বেড়ে উঠতে দেখেছি। তোমাকে প্রতি দিন উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত তোমাকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলাম। ব্রাজিলের হয়ে আমার গোলসংখ্যা স্পর্শ করেছ তুমি। আমরা দু’জনেই জানি এটা সংখ্যার থেকে অনেক বেশি কিছু। ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমাদের আসল কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করা। সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করা। ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা। যাঁরা আমাদের সুন্দর খেলাটাকে ভালবাসেন, তাঁদের অনুপ্রাণিত করা।’’
নেমারের প্রশংসা করে পেলে আরও লিখেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ব্রাজিলের ফুটবলের জন্য এখন খুশি সময় নয়। তবু তুমি সব সময়ের মতোই সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উত্তরাধিকার যত বাড়বে, আমরা তত শিখব। প্রায় ৫০ বছর আগে আমি রেকর্ডটা গড়েছিলাম। এত দিন কেউই আমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তুমিই সেটা পারলে। নেমার তোমার অর্জনের মূল্য আলাদা।’’ প্রিয় দলের পরাজয়ে হতাশ হলেও, দেশের হয়ে গোলসংখ্যায় এত দিন পর কাউকে পাশে পেয়ে খুশি পেলে। ৩০ বছরের স্ট্রাইকারকে ভবিষ্যতের জন্যও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা