বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এই সরকারকে তারা দেখতে চায় না। ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেরাই রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে রেখেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের ঠাকুরগাঁওয়ে পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রিকসে যোগ দিয়ে সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সহিংসতা করে সরকারি দলের লোকেরা, আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি হলো জনগণের দল।
সরকারের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ব্রিকসে যোগদান করে সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার দুর্নীতি রোধ করতে পারবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে জনগণ আন্দোলনের দিকে ঝুঁকছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আন্দোলনের একটা ধাপ আছে, কখনো এটা উঠে কখনো এটা নামে। গত কয়েক বছর ধরে প্রমাণ করেছে বিএনপি কখনো ভায়োলেন্স করে না। ভায়োলেন্সটা করে সরকারি দলের লোকেরাই। সরকারের দাসত্ব এজেন্সিগুলো। উল্টো তারা বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চায়। কিন্তু এবার তারা সেই দোষ চাপানো সুযোগ পায়নি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণমানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে। বিএনপি নিজের জন্য আন্দোলন করছে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করা, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবাদিকদের লেখনীর অধিকার, স্বাধীনতা জবাবদিহি নিশ্চিত করা ছাড়াও সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতার জন্য বিএনপি জনগণকে নিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো কখনো নামে কখনো ওঠে। গোটা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ দলটি বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।