তিন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী দেড় শতাধিক। ছাত্র ৫১, ছাত্রী ৬৫ জন। শিক্ষক মোটে ৬ জন। প্রধান শিক্ষকসহ বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, ভৌত বিজ্ঞান ও চারুকারু বিষয়ের শিক্ষক নাই। এ পরিসংখ্যান ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কানুদাশকাঠি আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
কিভাবে পাঠদান চলছে জানতে চাইলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন- বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, ভৌত বিজ্ঞান ও চারুকারু বিষয়ের ক্লাস চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাই আমরা যে কয়জন আছি সবাই মিলে বেশি বেশি ক্লাস নিচ্ছি। সব সহকারী শিক্ষককে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪/৫টি ক্লাস নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, টিনের শ্রেণিকক্ষের দরজা জানালা ভাঙা, ফ্লোর কাঁচা থাকায় বৃষ্টির পানিতে খুব খারাপ অবস্থা হয়, বেশি বৃষ্টিতে এখানে বসা যায়না। আমার স্কুলের রেজাল্ট ভালো। তারপরও শিক্ষার্থী বাড়ানোর জন্য বাড়ি বাড়ি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের স্কুলে ভর্তি করাই। কিন্তু কয়েকমাস পরে তারা অনেকেই চলে যায়। শুধু অবকাঠামোগত দিক থেকে নয়, পাশেই একটা দাখিল মাদরাসা আছে। সেটাও শিক্ষার্থী কমার কারণ। তাই আমাদের স্কুলের নতুন একটা ভবন ও চাহিদা দেয়া শিক্ষক হলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে পারবো।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলের ক্লাস রুমের অবস্থা খুবই খারাপ। কাদা কাদা হয়ে যায়। আমাদের ভালো ক্লাস রুম দরকার। দরজা জানালা ও ভালো হোয়াইট বোর্ড নাই। এতে আমাদের কষ্ট হয় ক্লাস করতে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম বলেন, আমি জানি পূর্ব কানুদাশকাঠি আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভবন ও শিক্ষক সংকট আছে। কিছুদিন আগে একটা বরাদ্দ পেয়েছে স্কুলটি। আমি কর্তৃপক্ষকে ভবনের বিষয়টি জানাবো।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, ভবন সংকটের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।