রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফেলে দিয়ে অপু ইসলাম (৩৫) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় বাড্ডা থানার পুলিশ।
মৃত অপুর খালাতো ভাই দিপু হাসান জানান, অপু বাড্ডার সাঁতারকুল উত্তরপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। স্ত্রী শায়লা ও এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তিনি বাড্ডা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আগে অটোরিকশার ব্যবসা করতেন। বর্তমানে কিছুই করতেন না।
দিপু হাসান জানান, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাঁতারকুল শান্তিপাড়া আশরাফ আলী রোডের মাস্টার কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপুর তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরে নির্মাণাধীন ভবনটির ষষ্ঠ তলায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে ফেলে দেন।
খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন ছাত্র অপু নামে ওই ব্যক্তিকে নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের ষষ্ঠ তলার লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই ঘটনায় শিক্ষকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।