ভবিষ্যৎ কী রাষ্ট্রপতির! - দৈনিকশিক্ষা

ভবিষ্যৎ কী রাষ্ট্রপতির!

আমাদের বার্তা ডেস্ক |

অন্তর্বর্তী সরকার কি চাইলেই রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতে পারে? সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা বলছেন, সংসদ যেহেতু কার্যকর নেই, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব না। তবে তাকে বিদায় করা অসম্ভবও না। তেমন মনে করলে সরকার রাষ্ট্রপতিকে চলে যেতে বলতে পারে। রাষ্ট্রপতি নিজেও পদত্যাগ করতে পারেন। সরকার তখন নতুন কাউকে রাষ্ট্রপতি করতে পারে। তবে বর্তমান সংবিধানে থেকে সেটা সম্ভব নয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর প্রশাসনের শীর্ষ পদের অধিকারীরা বদলে গেলেও ‘অনিবার্য’ কারণে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়ে গেছেন মো. সাহাবুদ্দিন।

কিন্তু, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে উড়ে যাওয়ার আগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না- আড়াই মাস পর হঠাৎ সেই বিতর্ক সামনে এসেছে রাষ্ট্রপতির এক মন্তব্যের কারণে।

আর ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন ‘শপথ ভঙ্গ করেছেন’ দাবি করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মনে করিয়ে দিয়েছেন, এরপরও তাকে রাষ্ট্রপতি পদে রাখা চলে কি না, তা বিবেচনার সুযোগ সংবিধানে আছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ইতিহাসে একবারই রাষ্ট্রপতিকে অভিসংশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই তিনি পদত্যাগ করে ফেলায় সেই পথে আর হাঁটেনি সংসদ।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে অপসারণের উদ্যোগ নেয় তখনকার সরকার। সংসদে সেই প্রস্তুতির মধ্যে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। ৫০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

৫২ অনুচ্ছেদে সংবিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করার সুযোগ আছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে এবং সংসদের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে। ৫৩ অনুচ্ছেদে শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতিকে পদ থেকে অপসারণের যে কথা বলা আছে, সেখানেও সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সমর্থনের শর্ত আছে।

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন জানানোর পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ফলে সংসদে অভিসংশনের কোনো সুযোগ এখন নেই বলে মন দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ শাহদীন মালিক বলেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে এখন অপসারণ করা যাবে না। তিনি বলেন, যুদ্ধাবস্থা হলে রাষ্ট্রপতি সংসদ পুনর্বহাল করতে পারেন। কিন্তু এখন তো যুদ্ধাবস্থাও নয়।

আরেক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ বা অভিসংশনের আর এখন কোনো আইনি পন্থা নেই। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে করতে পারেন।…সংবিধানে বলা আছে। না, আর কোনো সুযোগ নেই এখন।

এমনকি এখন রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়ারও কিছু নেই বলে মনে করেন এই আইনজীবী। তিনি বলেন, আদালতে মতামত চাওয়ার বিষয়টি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। সেটা হল- কোনো আইন নিয়ে যদি কোনো ব্যত্যয় বা ব্যাখ্যার দরকার হয়, বোঝা যাচ্ছে না- সেখানেই কেবল রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চাইতে পারেন।

এদিকে গত সোমবার সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পান নাই, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার, উনার শপথ লঙ্ঘনের সামিল।…উনি যদি উনার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে উনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতায় আছেন কি না, সেটা আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সবাইকে ভেবে দেখতে হবে।

কিন্তু পদেষ্টা পরিষদের কি এ বিষয়ে কিছু করার ক্ষমতা আছে?

মনজিল মোরসেদ বলেন, ভাবতে পারেন। তবে উপদেষ্টা পরিষদ তো রাষ্ট্রপতির কাছেই শপথ নিয়েছেন। তারা তো রাষ্ট্রপতিকে একসেপ্ট করে নিয়েছেন। ভাববে বলতে তারা দেখবে রাষ্ট্রপতিকে তারা চাচ্ছে কি চাচ্ছে না- এসব নিয়ে ভাবার তো সুযোগ আছে। উপদেষ্টা পরিষদ কেন, যে কোনো মানুষই ভাবতে পারে। যাদের ক্ষমতা আছে তারা ভাবতে পারেন। কিন্তু কিছু করার নেই। রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচ বা অভিসংশন করতে পারবেন অথবা তিন নিজে পদত্যাগ করতে পারেন। এ দুটোই পদ্ধতি।

এখন তো সংসদ নেই। তাহলে এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতিকে কীভাবে অপসারণ করা যায়? এ প্রশ্নে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ভুঁইয়া বলেন, পদত্যাগ করতে হবে।

পদত্যাগ না করলে কী করতে হবে?

তিনি বলেন, পদত্যাগ করতে বলতে হবে।

সেটা কে বলবে? শরীফ ভুঁইয়া বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ বলবেন। উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব নিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বলতে হবে। এরপর আরেকজনকে রাষ্ট্রপতি করবেন। তাকে প্রধান উপদেষ্টা শপথ পড়াবেন।

কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষমতা তো সংসদের। এখন সংসদ নেই, তাহলে নতুন রাষ্ট্রপতি হবে কী করে?

এই প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন তো সাংবিধানিক সরকার নেই। এটা বিপ্লবী সরকার। এখন সবকিছু সংবিধান মেনে চলবে না। কিছু সংবিধান মেনে চলবে, কিছু মেনে চলবে না। সংবিধানের স্পিরিটে কাজটা করতে হবে। এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে।

তবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, বর্তমানে সংবিধান বহাল থাকায় আইনি বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয় এখন আলোচনা করে লাভ নেই। গত ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী এবং সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকার করেই শপথ নেয়।

রাষ্ট্রপতি যদি পদত্যাগ করেন বা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকেন বা দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, তাহলে কী হবে, সেটিও সংবিধানে লেখা আছে।
নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বা রাষ্ট্রপতি আবার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার।
কিন্তু গত ২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার অবর্তমানে যিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেই ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত ১৫ অগাস্ট।

অবশ্য সংবিধানের ৭৪(৬) অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, ক্ষেত্রমত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল রয়েছেন বলে গণ্য হবে।

রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে তখন কী হবে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী জেড আই খান পান্না বলেন, কেন, নতুন রাষ্ট্রপতি ছাত্ররা বানাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তো বলেছেন, ছাত্ররাই তাকে বানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকেও বানাবে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পর আর তার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন পান্না।

রাষ্ট্রপতির অভিশংসন বিষয়ে সংবিধানের ৫২। (১) অনুচ্ছেদে সংবিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে অভিশংসনের যে প্রক্রিয়া বলা আছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট। এ জন্য অভিযোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সই নিয়ে একটি প্রস্তাবের নোটিশ স্পিকারের কাছে দিতে হবে। স্পিকারের নোটিস দেওয়ার দিন থেকে ১৪ দিনের পূর্বে বা ৩০ দিনের পর এই প্রস্তাব আলোচিত হতে পারবে না। এ সময় সংসদ অধিবেশনে না থাকলে স্পিকার সংসদ আহ্বান করবেন।

৫২ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এর অধীন কোনো অভিযোগ তদন্তের জন্য আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে পারবে সংসদ। ৫২ (৩) অনুচ্ছেদ বলছে, অভিযোগ-বিবেচনাকালে রাষ্ট্রপতির উপস্থিত থাকার এবং প্রতিনিধি পাঠানোর অধিকার থাকবে। ৫২ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযোগ-বিবেচনার পর সংসদের সদস্য-সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাস হলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হবে।

৫৩ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতিকে পদ থেকে অপসারণ করা যাবে। সে ক্ষেত্রেও সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সইসহ স্পিকারকে প্রস্তাব দিতে হবে।

সংসদ অধিবেশনে না থাকলে স্পিকার অধিবেশন আহ্বান করবেন এবং একটি চিকিৎসা-পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করবেন। প্রস্তাব গৃহীত হলে স্পিকার তৎক্ষণাৎ সেই নোটিশের প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তাতে অনুরোধ করার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে তাকে পর্ষদের কাছে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে বলা হবে।
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে স্পিকারের কাছে প্রস্তাবের নোটিশ দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা ৩০ দিনের পর সেটি ভোটে দেওয়া যাবে না। অনুরূপ মেয়াদের মধ্যে প্রস্তাবটি উত্থাপনের জন্য আবার সংসদ আহ্বানের প্রয়োজন হলে স্পিকার সেটিই করবেন।

প্রস্তাবটি বিবেচিত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতির উপস্থিত থাকার এবং প্রতিনিধি পাঠানোর অধিকার থাকবে।

প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপনের আগে রাষ্ট্রপতি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য চিকিৎসা পর্ষদের কাছে উপস্থিত না হলে প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়া যাবে। সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস হলে সেদিনেই রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হবে।

অপসারণের জন্য প্রস্তাবটি সংসদে উস্থাপিত হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পর্ষদের কাছে উপস্থিত হলে সেই পর্ষদ যতক্ষণ না সংসদের কাছে মতামত পেশ না করবে, ততক্ষণ রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে ভোট হবে না।

সংসদে পর্ষদের রিপোর্ট বিবেচিত হওয়ার পর সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হলে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হইবে। বিডিনিউজ অবলম্বনে 

কৃষিগুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো: বাকৃবি উপাচার্য - dainik shiksha কৃষিগুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো: বাকৃবি উপাচার্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচারণার চালানোর নির্দেশনা - dainik shiksha ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচারণার চালানোর নির্দেশনা ভর্তি পরীক্ষার হলে মেয়ে, অপেক্ষারত মা ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে - dainik shiksha ভর্তি পরীক্ষার হলে মেয়ে, অপেক্ষারত মা ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ৩ দিনের রিমান্ডে - dainik shiksha সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ৩ দিনের রিমান্ডে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা যাদের - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধনের প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা যাদের ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়াদের রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার আছে: সারজিস - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়াদের রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার আছে: সারজিস কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031428337097168