পুনঃভর্তি ফি ও ভর্তির সময় অতিরিক্ত টাকা নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠের সংস্কার কাজ শেষে মাঠটি সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে নওফেল বলেন, আপনারা জানেন, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এরমধ্যে ৮০০ সরকারি স্কুল। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা এমপিওপ্রাপ্ত, তারা সরকারি সহযোগিতা পায়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এমপিওর টাকা পান।
এছাড়া অন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই তাদের প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন বছরের ভর্তিতে কত টাকা নিতে পারবে তা আমরা নির্ধারণ করে দিই।
নওফেল বলেন, “নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নেয়া যাবে না। পুনঃভর্তির নামে ফি নেয়া যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বা নিচ্ছে তাদের তালিকা মন্ত্রণালয় থেকে করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এমপিও পায় তাদের এমপিও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গতকাল আমরা অভিযোগ পেয়েছি, কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হয়নি। কারণ ওই শিক্ষার্থীদের নাকি ফিস বাকি ছিল। ফিসের সাথে বইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। বই সরকার দেয়। বই থেকে শিশুদের বঞ্চিত করা, এটা মেনে নেয়া হবে না। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ বন্ধ করে দেব।
নতুন বছরের প্রথম দিনে বিতরণ করা বইয়ে বিভিন্ন ভুলের বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চাইলে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “এবার অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। মেল্ডের (কাগজ তৈরির মণ্ড) দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। জাতীয় স্বার্থে লোডশেডিং করতে হয়েছে। ফলে কিছু কিছু জায়গায় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়।
ফলে ছাপার মানের কারণে কিছু ভুল বা ‘প্রিন্টিং মিসটেক’ থাকতে পারে। সেগুলো পরে ঠিক করা যাবে। তবে আপনারা জানেন, আমরা নতুন কারিকুলামে (পাঠ্যক্রম) যাচ্ছি। আগামী বছরে নতুন পাঠ্যক্রম অনুসারে বই এসে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কারিকুলাম আমরা করেছি। আশাকরি সেই কারিকুলাম অনুসারে উন্নত টেক্সট বুক দিতে পারব।
এ সময় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।