বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তিতে গলাকাটা ফি আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ পরিস্থিতিতে দেশের বেসরকারি স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অবস্থান ও ধরনের ভিত্তিতে স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ফি ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নিলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি চলছে। গতকাল রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। আর ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর অপেক্ষমান তালিকা থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
বেসরকারি স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ফি নিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় পাঁচশ টাকা, উপজেলা এলাকায় এক হাজার টাকা, জেলা সদর এলাকায় দুই হাজার এবং ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত স্কুল শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা নিতে পারবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তির ফি নেয়া যাবে না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তির ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না, করলে সরকার এমপিও বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর ৫৪০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯৯ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর গত ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি ২ হাজার ৮৫২টি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৭ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডিজিটাল লটারিতে অংশ নিয়ে সরকারি স্কুলে ভর্তির অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন আরও প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলগুলোতে আবেদন থাকা সাপেক্ষে ভর্তিচ্ছুরা অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।