ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন যে সব বিদেশি নেতানেত্রী - দৈনিকশিক্ষা

ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন যে সব বিদেশি নেতানেত্রী

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

নাটকীয় পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছেন। ভারত সরকার প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলো মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের তৃতীয় কোনো দেশই তার চূড়ান্ত গন্তব্য হতে যাচ্ছে – কিন্তু সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের এখনও কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছেন, স্পষ্ট করা হয়নি সেটাও।

তবে ভারতে অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ভারতকে হয়তো শেষ পর্যন্ত দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেয়ার জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার অবশ্য এখনও এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গত ৬ অগাস্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার আগের দিন (৫ আগস্ট) ‘সাময়িকভাবে’ বা তখনকার মতো ভারতে আসার অনুমোদন চাওয়া হয় – যা মঞ্জুর করা হয়েছিলো।

এখনও পর্যন্ত ওটাই শেখ হাসিনার এ দেশে থাকার ব্যাপারে ভারত সরকারের শেষ ঘোষিত অবস্থান। শেখ হাসিনার দিল্লিতে থাকার মেয়াদ কত দীর্ঘায়িত হতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেরাও অন্ধকারে - স্বভাবতই তারা এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।

শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এখন কী করা হবে তা নিয়ে এখনও অস্পষ্টতা থাকলেও অতীতে কিন্তু বিভিন্ন দেশের একাধিক নেতা, রাজনীতিবিদ বা তাদের পরিবারকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।

এমন কী শেখ হাসিনা নিজেও ১৯৭৫-এ পিতা শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ব্যক্তিগত জীবনে যখন চরম সঙ্কটে – তখন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছিলেন। সেই যাত্রায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে প্রায় দীর্ঘ ছ’বছর ভারতে কাটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লির পান্ডারা পার্কে তাদের সেই বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো ভিন্ন নাম ও পরিচয়ে।

কিন্তু শুধু শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরাই নন – এদেশে বিভিন্ন সরকারের আমলে আরো অনেক দেশের অনেক নেতা বা তাদের পরিবারও ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ বছর কয়েক পরে নিজ দেশে বা অন্যত্র ফিরে গেছেন, কাউকে আবার পাকাপাকিভাবে ভারতেই থেকে যেতে হয়েছে।

ইতিহাসের পাতা থেকে এরকম কয়েকটি দৃষ্টান্তের প্রতিবেদন: 

দালাই লামা (১৯৫৯)

ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ তার আকরগ্রন্থ ‘ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী’তে লিখেছেন-
‘১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের শেষ দিনটিতে দালাই লামা ম্যাকমোহন লাইন অতিক্রম করে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডের প্রবেশ করেন। তার আগে বেশ কয়েক বছর ধরে তিব্বতের এই ‘ঈশ্বর-রাজা’ লাসা-য় তার পোটালা প্যালেসের সিংহাসনে দিন কাটাচ্ছিলেন চরম অস্বস্তির মধ্যে, কারণ তিব্বতের ওপর চীনের কব্জা ক্রমশ এঁটে বসছিলো। একটি সূত্র জানাচ্ছে, তখনই অন্তত পাঁচ লাখ চীনা সৈন্য তিব্বতে মোতায়েন ছিলো।  ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ চীনের একজন জেনারেল একটি নাচের অনুষ্ঠানে দালাই লামাকে আসার আমন্ত্রণ জানান – কিন্তু এটাও বলে দেয়া হয় যে তার দেহরক্ষীরা সেখানে ঢুকতে পারবে না। অনুষ্ঠানের দিন হাজার হাজার তিব্বতি দালাই লামার প্রাসাদের সামনে জড়ো হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তিব্বতিরা বহুদিন ধরেই সন্দেহ করছিলেন যে তাদের ধর্মগুরুকে চীনারা অপহরণ করার ষড়যন্ত্র আঁটছে, এই ঘটনায় তাদের সেই ধারণা আরো বদ্ধমূল হয়।

এর ঠিক আগের বছরই (১৯৫৮) পূর্ব তিব্বতের খাম্পা জনজাতি এই চীনা ‘দখলদার’দের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থান করেছিলো। খাম্পারা শুরুতে কিছুটা সাফল্য পেলেও চীনা বাহিনী খুব শক্ত হাতে সেই বিদ্রোহ দমন করে এবং এরপর দালাই লামাকে পর্যন্ত নিশানা করার ইঙ্গিত দিতে থাকে।

ইতোমধ্যে লাসায় নিযুক্ত ভারতীয় কনসালের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন তিব্বতি নেতৃত্ব। ২৩ বছর বয়সী দালাই লামাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে প্রস্তুত, এই আশ্বাস মেলার পর গোপনে রাতের অন্ধকারে কয়েকজন বাছাই-করা বিশ্বস্ত সঙ্গীকে নিয়ে তিনি ছদ্মবেশে লাসা ত্যাগ করেন।

ভারতের মাটিতে দালাই লামা তার প্রথম রাতটি কাটান তাওয়াং-এর একটি বৌদ্ধ মনাস্টারিতে। তারপর তিনি ক্রমশ পাহাড় থেকে নেমে আসেন সমতলে, পৌঁছান আসামের শহর তেজপুরে। সেখানে ভারতের কর্মকর্তারা লম্বা সময় ধরে তাকে ‘ডিব্রিফ’ করেন। ঠিক তিন সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছিলেন, তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা – যাকে তার অনুগামীরা ভগবান বুদ্ধের জীবন্ত অবতার বলে মনে করেন – তিনি ভারতে চলে এসেছেন এবং ভারত সরকার তাকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দিয়েছে।

পন্ডিত নেহরু সে দিন সভায় আরো জানান, দালাই লামা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং ভারত এই অতিথিকে তার যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দেবে। সেই থেকে আজ ৬৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দালাই লামা ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়েই রয়েছেন।

মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ্ (১৯৯২)

১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ আহমদজাই, যিনি ‘নাজিবুল্লাহ’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন –সোভিয়েতের সমর্থনে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।

প্রায় ছ’বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পর ইসলামি মুজাহিদিনরা যখন ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দেরর এপ্রিলে কাবুল দখল করে, তখন প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিয়ে নাজিবুল্লাহ ভারতের কাছে আশ্রয় চান, তা মঞ্জুরও হয় সঙ্গে সঙ্গেই।

ভারতের সঙ্গে আফগান রাজনীতিক নাজিবুল্লাহ্র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কিশোর বয়স থেকেই, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বারামুলার একটি সেকেন্ডারি স্কুলে তিনি নিজে পড়াশুনোও করেছেন। তবে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে আসার চেষ্টায় এয়ারপোর্টে আসার পথেই আফগান নিরাপত্তারক্ষীরা নাজিবুল্লাহ্কে আটকে দেন, তার আর দিল্লির বিমানে চাপা সম্ভব হয়নি। এরপর নিজের জীবন বাঁচাতে নাজিবুল্লাহ্ গিয়ে আশ্রয় নেন কাবুলে জাতিসংঘের কার্যালয়ে, যেখানে মুজাহদিনরা চট করে ঢুকতে পারবে না বলে তিনি ধারণা করেছিলেন। এই ঘটনার কয়েক মাস আগেই বিপদ আঁচ করে প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহ্ তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানকে গোপনে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই তথ্য তখন প্রকাশ করা হয়নি। অনেক পরে ভারত সরকার জানিয়েছিল, নাজিবুল্লাহ্-র পরিবারকে মধ্য দিল্লির ল্যুটিয়েন্স জোনে একটি বাড়িতে সরকারি আতিথেয়তায় রাখা হয়েছে। তাদের খরচ নির্বাহের জন্য ভারত সরকার মাসে এক লাখ রুপির ভাতা দিচ্ছে, ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাপত্তারও। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের তদানীন্তন যুক্তফ্রন্ট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরাল দেশের পার্লামেন্টে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহ্-র পরিবার ১৯৯২ থেকেই ভারতে রয়েছেন।

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের হাত থেকে তালেবান যখন কাবুল দখল করে নেয়, অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ শাহ মাসুদ নাজিবুল্লাহ্কেও শহর থেকে পালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু নাজিবুল্লাহ্র ধারণা ছিলো, তিনি নিজে যেহেতু একজন পশতুন এবং তালেবানের মধ্যে পশতুনদেরই প্রাধান্য বেশি, তাই তাকে অন্তত তালেবান কিছু করবে না। সেই ধারণা অচিরেই ভুল প্রমাণিত হয়। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে জাতিসংঘের কম্পাউন্ডে ঢুকে সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহকে হিড়হিড় করে টেনে বের করে আনে। এরপর প্রকাশ্যে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়, গুলি করে মারা হয় এবং কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ঠিক বাইরে একটি ল্যাম্পপোস্টের পোল থেকে তার দেহটি ঝুলিয়ে দেয়া হয়। নাজিবুল্লাহ্ ছিলেন এমন একজন আফগান নেতা, যিনি ভারতের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের নিশ্চয়তা পেয়েও শেষ পর্যন্ত ভারতে এসে পৌঁছতেই পারেননি এবং নিজের জীবনও রক্ষা করতে পারেননি।

মোহামেদ নাশিদ (২০১৩)

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট তথা রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট মোহামেদ নাশিদকে এক বিচিত্র পরিস্থিতিতে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলো। মোহামেদ নাশিদ এর আগে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গায়ুমের একটানা তিরিশ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশের ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সে দেশে এক রাজনৈতিক সংকটের জেরে অবশ্য তাকে পদত্যাগ করতে হয়। অপসারিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ ফেব্রুয়ারি সে দেশের আদালত একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সেই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার আগেই নাশিদ সটান চলে যান রাজধানী মালের ভারতীয় হাই কমিশন ভবনে। ভারতের সঙ্গে তার অবশ্য আগে থেকেই সুসম্পর্ক ছিলো, কিন্তু তিনি যে সোজা ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন এটা ভারতের কর্মকর্তারাও ভাবতে পারেননি।

দিল্লির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত আলোচনা করেন তদানীন্তন ভারতীয় হাই কমিশনার, এরপর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদকে রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করে মনমোহন সিং সরকার।

তবে এই পরিস্থিতি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, কয়েক দিন পরেই অভ্যন্তরীণ সমঝোতার ভিত্তিতে নাশিদ গ্রেফতারি থেকে অব্যাহতি পান – এমন কী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সে বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও। ভারতও মুক্তি পায় একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে। 

রাজা ত্রিভুবন শাহ (১৯৫০), রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে প্রস্তাব (২০০৮)

১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে নেপালের তখনকার মহারাজা ত্রিভুবন বীর বিক্রম শাহ তার ছেলে মহেন্দ্র, সব চেয়ে বড় নাতি বীরেন্দ্র ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসে আশ্রয় নেন। নেপালের রাজবংশের সঙ্গে রানাদের (যাদের হাতে ছিলো দেশের শাসনক্ষমতা) বহুদিন ধরে চলা সংঘাতের জেরেই একটা পর্যায়ে রাজা ত্রিভুবন ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাজা ত্রিভুবন শাহ ভারতের কাছে আশ্রয় চাওয়ায় রেগে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোহন শামসের জং বাহাদুর রানা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিংহ দরবারে জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকে প্রধানমন্ত্রী রানা সিদ্ধান্ত নেন, ত্রিভুবন শাহ্র চার বছর বয়সী বাচ্চা নাতি জ্ঞানেন্দ্র – যিনি পিতামহর সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসে যেতে পারেননি, তাকেই নেপালের নতুন রাজা ঘোষণা করা হবে।

এর তিনদিন পর নেপালের কাঠমান্ডুতে গোওচর বিমানবন্দরে দুটি ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট এসে নামে, যাতে করে ত্রিভুবন শাহ ও পরিবারের অন্যরা (শিশু রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে ফেলেই) দিল্লিতে রওনা হয়ে যান। ঘটনাচক্রে ওই এয়ারপোর্টের এখন নামকরণ করা হয়েছে রাজা ত্রিভুবন শাহর নামেই। দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। রাজা ত্রিভুবন শাহ ও পরিবারের বাকি সবাইকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়।

তবে রাজা ত্রিভুবন শাহ্কে মাস তিনেকের বেশি ভারতে থাকতে হয়নি। রাজার দেশত্যাগে নেপাল জুড়ে রানাদের বিরুদ্ধে যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিলো, তাতে সরকার ত্রিভুবন শাহ্র সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয় – যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিলো ভারত।

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু - dainik shiksha পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত - dainik shiksha অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে - dainik shiksha গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0081510543823242