প্রত্যেক ধর্মের ছাত্রদের রাজ্য মাদরাসায় শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। মাদরাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি বিষয়ে আধুনিক শিক্ষা দেয়া হয়। এক নোটিশের জবাবে এ বিবৃতি দেন ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ইফতিখার আহমেদ জাভেদ।
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)-এর নোটিশের জবাবে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে অমুসলিম শিশুদের ভর্তি করা সমস্ত সরকারি অর্থায়ন/স্বীকৃত মাদরাসার বিস্তারিত তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।
ডা. জাভেদ বলেন, মুসলমানরা যদি সংস্কৃত স্কুল-কলেজে শিক্ষালাভ করতে পারে, তাহলে অন্য ধর্মের ছাত্ররা মাদরাসায় শিক্ষা নিতে পারবে না কেন? আমি মনে করি না ধর্মের কারণে ছাত্রদের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত। আমি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও ছিলাম।
তিনি আরও বলেন ‘ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার একটি অমূল্য উপকরণ হিসাবে মাদরাসা সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা যে কোনো বিশ্বাসের হতে পারে’। রাজ্যে কিছু মাদরাসা আছে যেখানে সংস্কৃত এবং অন্যান্য ভাষা পড়ানো হয়। তিনি বলেন, মাদরাসায় বিজ্ঞান, গণিতসহ অন্যান্য বিষয়ও পড়ানো হচ্ছে।
তদন্তের পর, এ ধরনের সব শিশুকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য স্কুলে ভর্তি করা উচিত, চিঠিতে বলেছে। চিঠিতে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সব মানহীন মাদরাসার ম্যাপিং করার এবং অবিলম্বে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের জন্য যে কোনো/সকল শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে রেকর্ডের জন্য ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাকশন নেওয়া রিপোর্টের (এটিআর) একটি অনুলিপি এবং আরো উপযুক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে।
সূত্র : আইএএনএস।