শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিচারপতি এম. ফাতিমা বিবি। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তার নামটি ভারতের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। কারণ তিনিই ছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি। কোল্লাম জেলায় ট্রাভাঙ্কোর মেডিকেল হাসপাতালে বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তার চিকিৎসা চলছিলো। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে পাথানামথিট্টা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ফাতিমা বিবি। তিনি সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে তার শিক্ষাগত যাত্রা শুরু করেন। তিনি কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তিরুবনন্তপুরমের সরকারি আইন কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কেরালার প্রথম নারী হিসেবে গৌরবময় আইন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে কেরালা হাইকোর্টের বিচারক হিসাবে বেঞ্চে উন্নীত হওয়ার আগে তার পেশাগত গতিপথের মধ্যে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এবং আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচার বিভাগীয় সদস্য হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
তিনি শুধু লিঙ্গ বাধাই ভেঙে দেননি, তিনি দেশের উচ্চ বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আরোহণকারী মুসলিম নারী হিসেবে প্রতিভাত হন।
১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করেন ফাতিমা বিবি। পরবর্তীতে ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে, তিনি তামিলনাড়ুর গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং গভর্নরের পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মুসলিম নারী হয়ে ওঠেন। উপরন্তু, তিনি কেরালা অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এম.ফাতিমা বিবির মৃতদেহ পাঠানমথিট্টায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতির।
সূত্র : newindianexpress