দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দার উত্তরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদকে সরিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে পৌনে দুই বছর অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে অনার্স শাখায় সেমিস্টার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, উত্তরা ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তী গত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত বিধিবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এমনকি সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় পদ না থাকলেও তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর অবৈধভাবে অনার্সের ৮টি শাখায় সেমিনার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- বাংলা বিভাগে মো. কামরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে রবিউল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগে সাগিরা খাতুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মো. নুরুল আমিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ইফতেখার হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে রীনা খাতুন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে আনোয়ার হোসেন ও ভূগোল বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমি যখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেই তখন কলেজের সিনিয়র পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে একজন দায়িত্ব নেয়ার নিয়ম ছিলো। বর্তমানে আমার কলেজে কোনো গভর্নিং বডি নেই। গভর্নিং বডি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই বডি পাশ হয়ে আসলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
কলেজে বিধিবহির্ভূতভাবে ৮ জন সেমিস্টার সহকারী নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় পদগুলো না থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র আছে। সেই পরিপত্রের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারিকৃত সেই পরিপত্র দেখাতে পারেননি।
এ বিষেয়ে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ বলেন, আমি ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ। আমি আগে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে তৎকালীন গভার্নিং বডির সভাপতি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কলেজের অর্থনীতি বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। তখন থেকে তিনিই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী তিনি ওই পদে থাকতে পারেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।