মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার থেকে ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় এলাকায়। টানা চারঘন্টাও বেশি সময় ধরে চলা বৃষ্টিতে হাঁটু সমান, জায়গা বিশেষ কোমর পরিমাণ পানি জমেছে ঢাবির প্রায় সবকটি হলে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনি চিত্র লক্ষ্য করা যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রি হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
তুলনমূলক নিচু এলাকায় হওয়ায় হল দুটিতে জায়গাবিশেষ পানি জমেছে কোমর সমান। মৈত্রী হলে পানির নিচে তলিয়ে গেছে রিডিং রুম, ডাইনিং রুমসহ শিক্ষার্থীদের থাকার গণরুমগুলোও। ভিজে গেছে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
এদিকে বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের রিডিং রুমের ছাদ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে দেখা গেছে। এতে ভিজে গেছে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ বই-খাতা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হলসহ প্রায় সবকটি হলেই জমেছে হাঁটু পরিমাণ পানি। এমনকি ফুলার রোডে অবস্থিত শিক্ষকদের অনেক আবাসিক ভবনের নিচতলায় পানি উঠেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকার পানির পরিস্থিতি প্রায় একই রকম রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানত চাইলে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেন, আমাদের নিচতলার হল অফিস, টিভি রুম, শিক্ষার্থীদের রুম সব ভেসে গেছে। পানি উঠার আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়েছি।
মনোয়ারা ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনের সংস্কার কাজ শেষ। তবে রুমগুলোতে এখনও কোনো ফার্নিচার উঠানো হয়নি। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন ইস্যুতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। কাজগুলো হয়ে গেলেই উপাচার্য স্যার একদিন এসে উদ্বোধন করবেন। তারপরই শিক্ষার্থীদের রুমগুলোতে উঠানো হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এমন নয় যে এটা নতুন ভবন আমাকে উদ্বোধন করতে হবে। আমি জানি যে কিছু কাজ বাকি পড়ে আছে। তারপরও আমি বলে দিবো যেনো অতি তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীদের রুমগুলোতে স্থানান্তর করা হয়।