টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, সরকারি খাল ভরাটের পর দোকান নির্মাণ করে ভাড়ার জন্য দরপত্রও আহ্বান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া খালের ওপর ৫৮০ ফুট সীমানা প্রাচীর এবং বাউন্ডারির ভেতর ও বাইরে এক হাজার ফুটের বেশি লম্বা এবং প্রায় ১৫ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণেরও অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিকার চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষে মাসুম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।
যদিও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, সন্তোষ বাজারের পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দিয়ে একসময় যাতায়াত করতেন সন্তোষের জমিদাররা। এ খাল দিয়ে চলত বড় বড় নৌকা, লঞ্চ ও স্টিমার। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে খালটি। এখন দখল-দূষণে খালটি পরিণত হয়েছে সরু নালায়। খালের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ নম্বর গেটের সামনে ২৫২ বর্গফুট করে তিনটি দোকান নির্মাণ করেছে। ১১ সেপ্টেম্বর দোকান পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত। এস্টেট অফিস থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে দরপত্র শিডিউল ও নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করে ১৬-২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে এস্টেট অফিসে জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখন আর এস্টেট অফিসের পুরো দায়িত্বে নেই। এস্টেট অফিসে একজন অফিস প্রধান দায়িত্বে আছেন। তারা সবকিছু প্রস্তুত করে, ভিসি স্যারের অনুমোদনের পর আমি স্বাক্ষর করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস প্রধান অধ্যাপক ড. মুছা মিয়া বলেন, ‘যেহেতু দরপত্র আহ্বান করেছে রেজিস্ট্রার, সেহেতু তার কাছেই এ ব্যাপারে জানা প্রয়োজন। এস্টেট অফিসের দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র দুই মাস। দোকান নির্মাণ শুরু হয়েছে আরো আগে।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো অভিযোগটি হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : বণিক বার্তা