নওগাঁর মান্দায় চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া ভূয়া নিয়োগ দেয়াসহ বর্তমানে আবারো নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত মঙ্গলবার তৎকালীন সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মো. রহিদুল ইসলাম গত ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে তারিনী কান্ত সরকারকে সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া নিয়োগ দেন তিনি।
এছাড়াও সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান) হিসেবে মো. আশরাফুল ইসলামকে গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দেরর ২৭ ডিসেম্বর নিয়োগ দেয়া হলেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মচারী ও সভাপতি জানেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. রহিদুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিদ্যালয়ের পাঠদান অনুমতি নেয়ার জন্য শিক্ষকদের তালিকা পাঠাতে হয়। এরমধ্যে কারিনী কান্ত নামের একজনকে আইসিটি পদের শিক্ষক দেখানো হয়েছে এবং গ্রান্থাগারীক পদে আশরাফুল ইসলামকে দেখানো হয়েছে। তারা কেউ কখনো স্কুলে আসেনি।
আমি শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের পাঠদান অনুমতি নেয়ার জন্য তাদের নাম দেখিয়েছি। এর বাইরে কিছু নয়। অভিযোগকারী তৎকালীন সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন টুকুর ছোট ভাই আতাউর রহমান সানুর স্ত্রী মাহমুদাকে সহকারী শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান পদে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিতে চায়। সে সময় আমি বাধা দেয়ায় তাদের এই পরিকল্পনাটি ভেস্তে যায়। তারপর থেকে তারা আমাকে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দেয়। যা তারা এপর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেননি।