নওগাঁর সাপাহারে ভূতের চিকিৎসা দেয়ার নামে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক হোমিও চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্ত হোমিও চিকিৎসককে আদালতের মাধমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তকে আটক করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে আশড়ন্দ বাজারে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয় খুলে চিকিৎসা দিতেন। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গত ১৬ জুন ওই হোমিও ফার্মেসিতে নিয়ে যান। এ সময় দেলোয়ার ওই ছাত্রীকে পরের দিন দুপুরে আবারও আসতে বলেন। পরের দিন মায়ের সঙ্গে আবার তার কাছে চিকিৎসার জন্য যান ওই ছাত্রী। এ সময় দেলোয়ার ওই ছাত্রীর শরীরে জ্বীন-ভূত প্রবেশ করেছে বলে জানান ও ‘তেল পড়া’ দেয়ার কথা কলেন। তিনি ওই ছাত্রীর মাকে দোকানে তেল কিনতে পাঠান। ওই ছাত্রীর মা তেল নিয়ে আনুমানিক ২৫ মিনিট পরে চেম্বারে ফিরে এসে দেখেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ও তার অসুস্থ মেয়ে ধস্তাধস্তি করছে। ঘটনাটি দেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা দেলোয়ারের ওপর চড়াও হলে দেলোয়ার উল্টাপল্টা কথা বলতে থাকেন। পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।