শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তুরস্কে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় পাঁচ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবর্তিত হয়নি।
বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৮৪ হাজারেরও বেশি ভবন হয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভবনগুলো জরুরিভাবে ধ্বংস করা দরকার।
এদিকে ভূমিকম্পের ১৩ দিনের মাথায় (১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) তুরস্কের হাতায় প্রদেশে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে সংশ্লিষ্টরা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তুর্কি উদ্ধারকারীরা হাতায় প্রদেশের রাজধানী আন্তাকিয়ার কানাটলি অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ১৩ দিন পর উদ্ধার হওয়া তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার উদ্ধার হওয়া তিনজন ২৯৬ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন। ভুক্তভোগীরা একজন শিশু, একজন নারী ও এক পুরুষ। অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানে। পরে দুপুরের দিকে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কে আঘাত হানে।
দেশ দুটিতে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। বহু লোকজন ঘরছাড়া হয়ে সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তুরস্ক অনেক দেশের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছে। তবে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ত্রাণ সাহায্য নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে।