দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে নতুন করে পাওয়া ইলিশা-১ নামের গ্যাস ক্ষেত্রের কূপে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরিং কোম্পানি লিমিটেড বা বাপেক্স। এটি ভোলার নবম গ্যাসক্ষেত্র।
রোববার (৭ মে) ভোরের দিকে দ্বিতীয় ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) পরীক্ষা শুরু করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, ইলিশা-১ কূপ খনন শেষে তিনটি স্তরে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখেছিলেন তারা। গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ নামের নতুন ওই কূপ খনন কাজ শুরু করে ২৮ এপ্রিল কূপের ডিএসটি পরীক্ষা করে আগুন প্রজ্বালন করে বাপেক্স। এবং ৫ মে পরীক্ষা শেষ করা হয়।
বাপেক্সের এ মহাপরিচালক বলেন, ধারণা করা যাচ্ছে এখানে প্রায় ২০০ বিলিয়্ন ঘনফুট (বিসিএফ) বা তারও অধিক গ্যাস মজুত রয়েছে। তবে সেটি পুরো পরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখান থেকে দৈনিক ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। এতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এখানে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।
জানা যায়, ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর থেকে এখানে আরও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় নতুন করে সম্ভাবনা দেখছে ভোলাবাসী। তবে এই গ্যাস সরবরাহ নিয়ে নানা জটিলতার কথাও বলা হয়। অবশ্য সরকার এই গ্যাস ভোলাসহ আশপাশের এলাকায় বিতরণের কথা জানিয়েছে।
এদিকে ভোলাবাসী প্রত্যাশা করছে, নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ফলে একদিকে যেমন জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। গৃহস্থালির কাজেও গ্যাস সংযোগের দাবিও জানান ভোলাবাসী।