মুন্সিগঞ্জে ফুটবল খেলতে এসে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে সোনারং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার ইউনিটির প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে বিপুল সংখ্যক দর্শক মাঠে জড়ো হন। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ সমতায় ড্র করে। খেলায় অংশ নেন ব্যারিস্টার সুমন। খেলা শেষে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এসময় দর্শকদের একাংশ হঠাৎ মঞ্চে উঠে গেলে তা ভেঙে পড়ে। পরে ব্যারিস্টার সুমন মাঠে থাকা একটি পিকআপে উঠে বক্তব্য রাখেন।
মিজান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘খেলা শেষ হওয়ার পরপরই আয়োজকরা ব্যারিস্টার সুমনকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ জানান। এসময় মঞ্চের চারপাশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিল। ভিড় ঠেলে উনি মঞ্চে উঠে ক্রীড়াপ্রেমীদের উদ্দেশে মাত্র কথা বলা শুরু করছিলেন। এসময়ই দর্শকরা ছবি তোলার জন্য মঞ্চে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে বাঁশ-কাঠ দিয়ে বানানো মঞ্চটা ভেঙে পড়ে যায়।’
স্থানীয় সংবাদকর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমাদের ক্যামেরাপার্সন রাহিদ হোসেনসহ ৪-৫ জনের মোবাইল ফোন হারিয়েছে। তবে কেউ আহত হননি। মঞ্চের সবাই কোনোমতে নিজেদের সামলে নিয়েছেন।’
পরে বক্তব্যে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের মাটিতে আমাদের খেলতে দেওয়ার কথা না। আজ যারা ফুটবল খেলা দেখতে এসেছেন তারাই প্রকৃত ফুটবলপ্রেমী। এদের আটকানো যাবো না। আমার জেলা স্টেডিয়ামে খেলার কথা ছিল। ৪০ হাজার মানুষ খেলা দেখতো। ধন্যবাদ ডিসি সাহবেরে আমারে এখানে অন্তত খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমারে এই মাঠে পাঠাইছেন, তারা দেইখা যান সাধারণ মানুষের ভালোবাসা কমে নাই। মরমুতো মরমু ফুটবলটারে প্রতিষ্ঠিত করে মরমু। বেশিদিন নাও বাঁচতে পারি। তবে কথা দিয়ে যাচ্ছি, যারাই দুর্নীতি করে তাদের পেছন ছাড়বো না।’
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার ইউনিটির প্রীতি ফুটবল খেলাটি বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম (মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়াম) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পরবর্তীতে সেটি টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়।