আপতত রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমী। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য পদ নিয়ে চলা একটি সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের আইনজীবী। সম্প্রতি বোর্ডের আইনজীবীর এ মতামত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন ঢাকা বোর্ড।
জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ অক্টোবর অভিভাবক সদস্য শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমীর সদস্য পদ বাতিল করা হয়। তাদের সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। গত ২৭ নভেম্বর ওই রিটের মোশন শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের সদস্য পদ বাতিল করে জারি করা চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। কিন্তু এর আগে ৭ নভেম্বর মো. আবদুল্লাহ ও অজিফা খানমকে নতুন অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমীর সদস্য বাতিলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মো. আবদুল্লাহ ও অজিফা খানম আদালতে আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দায়ের করেন। লিভ টু আপিল শুনানি শেষে চেম্বার আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুসারে ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত না করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভায় অভিভাবক সদস্য হিসেবে অংশ নেন শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমী।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ পরিস্থিতিতে কোন দুই প্রার্থী অভিভাবক সদস্যের দায়িত্ব পালন করেবেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। পরে, প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যক্ষ ঢাকা বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে আইনি মতামত চান। গত সোমবার ঢাকা বোর্ডের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান এ বিষয়ে লিখিত মতামত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে পাঠিয়েছেন।
ওই লিখিত মতামতে ওই অ্যাডভোকেট জানিয়েছেন, মো. শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমী গত ১৩ ডিসেম্বর গভর্নিং কমিটির সভায় অভিভাবক সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও ১৪ ডিসেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশকে স্থগিত না করে স্থিতাবন্থার আদেশ দিয়েছেন। তাই যে দুইজন অভিভাবক সদস্য মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তারাই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আপিল বিভাগ থেকে স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেয়ার আগে পর্যন্ত শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমী অভিভাবক সদস্য হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। অপরদিকে নতুন সদস্য মো. আবদুল্লাহ ও অজিফা খানম কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন না বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শাহ আলম ও নুরসাত জাহান সুমী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
গত ৫ জুন ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের অভিভাবক সদস্য শাহ আলম ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য নুরসাত জাহান সুমীর মেয়াদ রিট পিটিশনের আদেশের প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করার বিষয়টি জানানো হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।