যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগের মিছিলে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এতে বিক্ষুব্ধ হয় যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা শহীদ মসিয়ূর রহমান হল থেকে একটি মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের সামনে অবস্থান করেন একইসঙ্গে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
যবিপ্রবির শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগকর্মী স্বর্ণা ইয়াসমিন বলেন, দীর্ঘদীন যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করবার উদ্দেশ্যে গত বুধবার রাতে একটি মিছিলের আয়োজন করি। আমরা কাউকে জোরপূর্বক মিছিলে আসতে বাধ্য করিনি। এরইমধ্যে বামপন্থি কিছু মেয়ে প্রভোস্টকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং মিছিলে বাধা প্রদান করে বলেন, এই হলে কোনো মিছিল হবে না। তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং মিছিল আয়োজনের জবাবদিহিতা চান। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট আমাদের কাছে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এরপরে ছাত্রলীগের কার্যক্রমে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না এমন আশ্বাসও দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, আমরা যখন মিছিলে বাধা প্রদান করার খবর পাই তখনি আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা হলের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। এ ব্যাপারে আমাদের দাবি ছিল কোনো শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় যদি জয়বাংলা স্লোগান দিতে চায় তবে হল প্রশাসন কোনো প্রকার বাধা প্রদান করবে না যা পরবর্তীতে হল প্রশাসন মেনে নিয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা বলেন, শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা যখন একত্রিত হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে হল প্রভোস্ট এসে বাধা প্রদান করে যেটা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাবে।
এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, ঘটনাটি যেভাবে প্রচারিত হয়েছে আসলে সেরকম কিছুই ঘটেনি।
আমি জানতাম না যে তারা মিছিল করবে, আমার কাছে বলেছে যে তারা জড়ো হয়েছে এবং ছাত্রীরা ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ায় তাদেরকে আমি নিয়মের মধ্যে কার্যক্রম চালাতে বলি। মিছিলে বাধা দেয়ার কথা আমি কখনোই বলিনি।