রংপুরের তারাগঞ্জে মদিনাতুল করিম লিল্লাহ বোর্ডিং মাদরাসার শিক্ষার্থী পঞ্চায়েতপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ইমরান হোসেন (১০) ও নয়াপাড়া গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে ইয়ামিন হোসেন (১১) কে জুসের সঙ্গে বিষ পান করিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পঞ্চায়েতপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে শিশু দুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ইমরান নামে ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা মাদরাসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ইয়ামিন ও ইমরানকে জ্বিন দেখাবেন বলে মাদরাসার পাশে একটি কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে একটি গর্তে নামানো হয় ওই দুই শিক্ষার্থীকে। পরে তাদের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় এবং চোখ খোলার চেষ্টা করলে জ্বিন তাদের বাবা-মার ক্ষতি করবে জানিয়ে জুস পান করতে বলেন ওই শিক্ষক। এ সময় ইমরান বমি করে। এতে ওই শিক্ষক দুই শিশুকে গালাগাল করতে থাকেন।
তাদের কথাবার্তা শুনতে পেয়ে এক প্রতিবেশী এগিয়ে এলে ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। পরে ইমরানের পরিবারের সদস্যরা দুই শিশুকে উদ্ধার করে এবং তাদের শরীর থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়ায় তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানকার চিকিৎসক শিশু দুটির অবস্থার অবনতি দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন।
শুক্রবার ইমরানের মা ইয়াসমিন আরা বলেন, বর্তমানে আমার ছরয়াটা (ছেলে) আর ওই ছরয়াটা ভালো আছে। মুই ওই হুজুরের বিচার চাও। অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ারের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তারপরেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।