বরগুনার তালতলীতে আতাউল্লাহ নামের ৬ বছর বয়সী এক এতিম শিশুকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত ও ভয়ভীতির দেখানোর অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষক মহিউদ্দিনের (২৫) বিরুদ্ধে। তিনি মারকাজুল হুদা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসা কর্মরত।
মারধরের শিকার শিশুটি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী (জিনবুনিয়া) এলাকায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্টুমির অপরাধে ওই এতিম শিশুকে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক মহিউদ্দিন (২৫)। এ সময় শিশুটি শিক্ষকের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য মাদরাসার পাশের এক বিএসসি শিক্ষকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে এতিম শিশুটিকে তার নানা বাড়িতে নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জিনবুনিয়ার বাসিন্দা মোসাররেফ হোসেন গত জানুয়ারিতে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রথমে বহিরাগত শিক্ষক রাখলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলে তার নিজ ছেলে মহিউদ্দিনকে মাদরাসার দায়িত্ব দেন এবং অন্য শিক্ষকদের মাদরাসা থেকে বের করে দেয়।
আহত শিশুর পরিবারের লোকেরা জানায়, ছেলেটির বাবা না থাকায় নানা বাড়ি একই ইউনিয়নের সিলভারতলী এলাকায় থাকেন। তাকে অমানবিক নির্যাতনের বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, এটা নিবন্ধন ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদের কোনো ম্যানেজিং কমিটি কিংবা পরিচালনা কমিটি নেই। এরা মাদরাসার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ব্যবসা করছে।
এদিকে মাদরাসা শিক্ষক মহিউদ্দিন এ সব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ফোঁড়া উড়েছে তাই চেহারা কালো হয়ে গেছে। আমি তাকে মারধর করিনি এবং আমরা এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করিনি পরবর্তীতে করবো।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমি আপনার কাছে শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।