দিনাজপুরে কাহারোল বাজার ফাজিল মাদরাসার সভাপতি মো. আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সভাতির অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গত ৪ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে চতুর্থ বারের মতো সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আশরাফুল হক। আশরাফুল হক কাহারোল বাজার ফাজিল মাদরাসার ৩৩ শতাংশ জমি ১ লাখ টাকায় সুন্দইল গ্রামের জনৈক হযরত আলীর কাছে অবৈধভাবে বন্ধক রেখেছেন। মাদরাসার সীমানা প্রাচীর ভেঙে পৌনে ৩ শতাংশ জমি দখল হস্তান্তর করেছেন। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ সংকুচিত করে মাদরাসার সামনে মার্কেট নির্মাণ করার কাজ করেন। নির্মাণাধীন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির নিকট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কাহারোল বাজার ফাজিল মাদরাসাটি উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী বাবুল সরকার জানান, এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান দিনদিন তলানিতে যাচ্ছে। তিনি নিয়মের বাইরে কীভাবে চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে থাকেন। শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ সংকুচিত করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান দেবেন বলে বিভিন্ন জনের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সীমানা প্রাচীর ভেঙে পৌনে ৩ শতক জমি দখল হস্তান্তর করেছেন। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে কাহারোল সভাপতি মো. আশরাফুল হক জানান, আমি এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছি। গত এপ্রিলে একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের সময় কোনো প্রজ্ঞাপন হয়নি।
জমি বন্ধক দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের কিছু সিকিউরিটির টাকা ছিলো না। সেই টাকা জোগান দিতেই জমি বন্ধক দেই। এখন ফান্ডে টাকা আছে জমি দ্রুত ফেরত নেবো। সব অভিযোগ অস্বীকারও করেন তিনি।
দিনাজপুর কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। কাহারোল বাজার ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে কিছু জমি সংক্রান্ত ঘটনা আছে। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।