মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর : সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সহকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে দিনাজপুর দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসা সুপার মো. মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের উপর লিখিত বক্তব্য দেন দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসার সহকারী সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের মাদরাসার সুপার স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য মকবুল হোসেন মাদরাসায় কর্মরত ছয়জন নিরীহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রারি করছেন। ইতিপূর্ব গত বছরের ২৫ জুন তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ এনে ১০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখিত মামলার ১নং সাক্ষী মো. আশিকুর রহমান এবং ২নং সাক্ষী মো. ওবাইদুল হক মামলাটি মিথ্যা হওয়ায় আদালতে সাক্ষী প্রদান করেননি। এছাড়াও সাক্ষীগণ গত বছরের ১৭ জুলাই দিনাজপুর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এই ঘটনা মিথ্যা উল্লেখ করে এভিডেবিট প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে ওই মামলাটি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আমরা মাদ্রাসা সুপার মো. মকবুল হোসেনের এরকম অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, মকবুল হোসেন একজন চতুর ধুরন্ধর ও দুর্নীতিবাজ মানুষ।  তিনি মাদরাসায় চাকরিকালীন সময়ে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার দায়ে ১২ বছর সাসপেন্ড ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে নারীঘটিত বিষয়টি নিয়ে আদালতে বিচার হয়েছে। চাকরির নিয়মানুযায়ী অনেক আগেই তার চাকরির বয়সসীমা শেষ হলেও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এখনো তিনি চাকরি করছে। চাকরিতে যোগদানের সময় দেয়া সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। দাখিল সনদের জন্মতারিখ অনুযায়ী গতবছরই তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আমরা এ ধরনের একজন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত শিক্ষককে দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে আর দেখতে চাই না। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তাকে মাদরাসা সুপারের দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারণ করা হোক। অন্যথায় শিক্ষাথী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো. মকবুল হোসেন জনান, তারা যেসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর মোল্লাপাড়া এলাকায় আমার উপর হামলা করে। এতে আমি আহত হয়ে ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকি। তারা এখন নিজেদের রক্ষা করতেই এসব মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।

ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040149688720703