যশোরের অভয়নগর উপজেলার পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসায় সহকারী সুপার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর মাদরাসার সুপার এ এন এম এম মুনিরুজ্জামান ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদারের দিকে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত ৮ অক্টোবর ৩০ জন এলাকাবাসী এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ যশোরের জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট এ এন এম এম মুনিরুজ্জামান ও মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদার সহযোগিতায় মাদরাসার অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় বেশি ভুয়া ছাত্র-ছাত্রী দেখিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি বই গ্রহণ করে অব্যবহৃত সরকারি বই বিক্রি করে আসছেন। তাছাড়া বর্তমানে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ৩০-৪০ মণ সরকারি বই মাদরাসায় গুদামজাত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাদরাসায় ১ জন সহকারী সুপার, ১ জন অফিস সহায়ক ও ১ জন আয়া পদে মোট তিনজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন সুপার ও সভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার এ এন এম এম মুনিরুজ্জামানের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সব মিথ্যা। আমি বর্তমানে আড়পাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় কর্মরত আছি।
মন্তব্য জানতে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।