আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার। শুধু এ কমিশন নয়, যে-ই মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে।
আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এসময় আইনমন্ত্রী একথা বলেন।
শিশু ও পিঁছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখনো পৌঁছাতে পারেনি, এসব জায়গায়ও কমিশনকে কাজ করতে হবে ।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষ এখনও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন।’ এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পিছনেও ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে। সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষে-মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।’
এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।